সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ভাঙন : রাজবাড়ীতে এক বিদ্যালয়সহ ১শ বসতঘর বিলীনের পথে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লিটন চক্রবর্তী, রাজবাড়ী থেকে : পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীতে ভাঙন দেখা দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নিচ থেকে মাটি নেমে গেলে বোঝার উপায় না থাকায় অনেকটাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে তারা। ভাঙন এলাকায় শতাধিক পরিবার ও চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রয়েছে চরম ঝুঁকির মুখে। গোদারবাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরে সিলিমপুর গ্রাম। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামটি এখন পানিবন্দি। যেতে হয় সাঁকো পাড়ি দিয়ে। ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি নদীর তীরে এসে ঠেকেছে। নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের একটি স্থানে ব্লকগুলো সরে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে পানির মধ্যে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ভাঙন স্থান বোঝানোর জন্য একটি লাঠি পুঁতে দেয়া হয়েছে।
নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, হঠাৎ দেখতে পান একটি জায়গায় পানি ভুড়ভুড় করছে। ব্লকগুলো দেবে যাচ্ছে। তখন প্রায় ২০ হাত লম্বা একটি বাঁশ পানিতে ফেলে দেখেন পুরো বাঁশটিই ডুবে যাচ্ছে। নিচে মাটি পাচ্ছে না। আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েকজন যুবককে পানিতে নামেন। তারা জানায়, নিচে কোনো ব্লক নেই। শুধু মাটি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালে তারা এসে দেখেন ব্লক ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধের জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে তিনটি নৌকায় করে আনা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আরো বালুর বস্তা ফেলবে বলেছিল। কিন্তু এখনো (বেলা সাড়ে ১১টা) আসেনি। আমরা নদী তীরবর্তী প্রায় একশটি পরিবার এখন খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হবে সে প্রস্তুতি নিয়ে আছি। কিন্তু যাবটা কোথায়।
তিনি আরো জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে গত এক মাস ধরে পানিবন্দি আছেন তারা। আরো তিন মাস এভাবেই যাবে। পানি থাকাবস্থায় নদী ভাঙলে বোঝার উপায় নেই। কখন যেন ঘরবাড়ি ভেঙে যায় সেটাই সব থেকে বড় দুশ্চিন্তা।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ১৫ মিটার এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পদ্মা তীর সংরক্ষণের ওই অংশটুকুর কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড। আমরা খুলনা শিপইয়ার্ডকে দিয়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য যতগুলো ব্যাগ দরকার ততগুলোই ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
ইতোমধ্যে পদ্মার তীর সংরক্ষণ কাজে ছয় দফা ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে সপ্তম দফা ভাঙনের সৃষ্টি হলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে, কাজটি এখনো চলমান রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়