অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

কাবুলে ঘাঁটি গাড়ছে জঙ্গিরা : দলেবলে ঢুকছে আইএস, লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গিরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাটি হয়ে উঠতে পারে তালেবান শাসিত আফগানিস্তান। শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, বিগত কয়েকদিনে ইসলামিক স্টেট (আইএস, বা দায়েশ), জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) বিপুলসংখ্যক যোদ্ধা ‘ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানে’র রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেছে। তালেবান পতাকাবাহী এসব বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর কাবুলে হাজির হওয়ার বিষয়টি শীর্ষ তালেবান নেতৃত্বের জানা রয়েছে। যদিও তালেবানের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এসব দলের ওপর। তারা নিজেরাই আপাতত কাবুল শহরের বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে ইতোমধ্যেই তাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তালেবানদের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে একাধিক অসমর্থিত সূত্রে। খবর দ্য হিন্দু। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তি অনুসারে, আফগানিস্তানে বাইরের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী যাতে তৎপর হতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করার জন্য তালেবানরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই কাবুল থেকে এসব গ্রুপের উচ্ছেদে তৎপর হবে তারা। কাতারের দোহায় তালেবানদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক আফগান মানবাধিকার কর্মী বলেন, সামনের কয়েকটা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এসব গ্রুপ তালেবান নেতৃত্বের নির্দেশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে বিদেশি জঙ্গিরা যাতে কাবুলে শেকড় ছড়াতে না পারে, সেজন্য তৎপর হয়েছে তালেবান নেতারাও। গত সোমবার তালেবান গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মুল্লাহ ওমরের পুত্র মুল্লাহ ইয়াকুব পাকিস্তানে তালেবানদের কয়েক দশকের ঘাঁটি কোয়েটা থেকে কাবুল ফেরার পর এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তালেবান বাহিনীর ‘অপারেশন চিফ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুল্লাহ ইয়াকুব। শিগগিরই তিনি কাবুলের লৌহমানব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংঘাতের মধ্য দিয়ে

এসব গ্রুপকে কাবুল থেকে উচ্ছেদ করতে গেলে বড় ধরনের সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এদিকে সূত্র জানায়, তালেবাদের নির্দেশ অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই এসব গোষ্ঠীর।
আফগানিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্যে তালেবানের সহায়তা করার কাজে ইতোমধ্যেই জড়িত হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, তাজিক নেতা ও আফগানিস্তানের সাবেক নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এবং হিজব-ই-ইসলামি প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। কাবুল বিমানবন্দরের অচলাবস্থার অবসানে কাতার থেকে তালেবানের রাজনৈতিক নেতারা দেশে ফেরার পরই ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকার গঠনের পর কাবুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই হবে তালেবান সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ। এদিকে, কাবুলকে আইএস, দায়েশ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার মতো জঙ্গি দলগুলোর ঘাঁটিতে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তালেবানরা কতটুকু তৎপর, সেদিকে গভীর নজর রেখেছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে সূত্র বলছে, মাঠপর্যায়ে পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে এসব জঙ্গি দলগুলো কাবুল ও অন্যান্য শহরে যে কোনো সময় যে কোনো বড় আকারের ধরনের অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়