অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সংকট : শেরপুরে ডিলারদের কাছে জিম্মি কৃষকরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : ভরা আমন মৌসুমে শেরপুর উপজেলায় ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সংকট হওয়ার কারণে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা।
শেরপুর উপজেলার ভাটরা গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ জানান, গত সপ্তাহে যে সার কিনেছি ৮শ টাকায় এখন তা ৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গোপালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বাদল জানান, সরকার ভর্তুকি দিয়ে প্রতিকেজি ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১৬ টাকা এবং ৫০ কেজি বস্তার এক বস্তা সার কৃষকের জন্য ৮শ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা বাজারে ৮শ টাকা বস্তায় সার পাওয়া যাচ্ছে না।
সারের সংকটের কথা বলে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ৫০-১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে বলে তিনি জানান। শেরপুর শহরের বারদুয়ারীহাটের সার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, আগে সব ডিলারকে একসঙ্গে সার বরাদ্দ দেয়া হতো। এখন তা না করায় বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বস্তাপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে।
শেরপুর শহরের ধুনট রোডের খুচরা সার বিক্রেতা ফরহাদ হোসেন জানান, ডিলারের কাছ সারের দাম বেশি হওয়ায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি থাকে। শেরপুর উপজেলায় বিসিআইসির অনুমোদিত সার ডিলার রয়েছেন ১২ জন। এছাড়া খুচরা সার বিক্রেতার ডিলার রয়েছে বর্তমানে ২৫ জন।
শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম জানান, এ উপজেলায় আগস্ট মাসে ইউরিয়া সারের চাহিদা ছিল ৯০৭ টন। সেখানে এখন পর্যন্ত উত্তোলন হয়েছে ৩১০ টন। তবে বাজারে সারের ঘাটতি নেই বলে তিনি জানান। শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ছামিদুল ইসলাম জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইউরিয়া বিক্রি করা অন্যায়। যদি কেউ বেশি দামে বিক্রি করে তবে প্রমাণসহ কৃষকরা যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম জানান, যদি কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষকরা যাতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পায় সেজন্য মনিটরিং জোরদার করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়