বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

বিশ্লেষণ : মো. তৌহিদ হোসেন > কট্টরপন্থি ও পেশাজীবীদের নিয়ে তালেবান সরকার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তালেবান কব্জায় আফগানিস্তান। গোটা দেশজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ। দেশটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এ নিয়ে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো দুই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের মন্তব্য। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
কাগজ প্রতিবেদক : তালেবানের কাছ থেকে খুব বেশি আশাবাদী বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তবু পরিবর্তন একটা থাকবে আর তাতেই কিছুটা আশাও হয়তো দেখা যাবে। ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন এভাবেই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশটিতে বিদ্যুৎ গতিতে তালেবান সবকিছু দখল নিল। এর বিপরীতে প্রশ্ন জাগে আফগান সেনারা কেন যুদ্ধে লড়াই করল না। তাদের তো লড়াইটা করা উচিত ছিল, কিন্তু কেন করল না? বরং তারা যা করেছে তা যুদ্ধের আচরণই নয় বলে জানান তিনি।
তার মতে, এখন কিছুদিনের মধ্যে তালেবান সরকার গঠন করবে। হয়তো ‘ইনক্লুসিভ’ একটি সরকার আসবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই ‘ইনক্লুসিভ’টার ধরন কী? গত কয়েক দিনে যা দেখেছি তাতে আগের তালেবানের সঙ্গে এখনকার তালেবানের পার্থক্য রয়েছে। এর প্রভাব হয়তো আমরা সরকার গঠনের সময় দেখব। কট্টরপন্থি ও পেশাজীবী মিলিয়ে তালেবানরা সরকার গঠন করতে পারে। এছাড়া তালেবানরা আগে যেটা করেনি

এবার হয়তো সেটাই করবে। কারণ গত ২০ বছরে দেশটিতে একটি ব্যুরোক্রেসি গড়ে উঠেছে। তালেবান সরকার হয়তো এই ব্যুরোক্রেসি নিয়েই কাজ করবে।
ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২০ বছরে আমরা দেখেছি ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ভালো ছিল। এজন্য তারা বিনিয়োগও করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত কিন্তু সেখান থেকে একধরনের উঠে এসেছে। আগামী দিনে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। অন্যদিকে গত ২০ বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ভালো ছিল না। বলা হচ্ছে, তালেবানদের পেছনে শক্তি জুগিয়েছে পাকিস্তান। এখন তালেবান সরকার গঠনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে কি রকম সম্পর্ক হয় তা দেখার বিষয়। তবে ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সম্পর্ক যাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
চীনের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন বরাবরই নিজেদের স্বার্থ দেখে। পাকিস্তান চীনের দোসর হয়েছে। কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তান যতটা সরব চীনের উইঘুর নিয়ে ততটাই নীরব। এর নেপথ্যেও কিন্তু ব্যবসা। ঠিক একইভাবে চীন তালেবানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং তা চীনের প্রয়োজনেই করেছে। চীন হয়তো তালেবানের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়