বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

দেশেই উৎপাদন হবে করোনার ভ্যাকসিন : লাগবে ৩ মাস, চীনের সঙ্গে চুক্তি সই

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী সিনোফার্মের ভ্যাকসিন (টিকা) দেশে যৌথ উৎপাদন করবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তির পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনে মাস তিনেক সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিদেশেও টিকা রপ্তানি করবে।
এর আগে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সমঝোতা স্মারক সই হয়। সরকারের পক্ষে জাহিদ মালেক, চীনের সিনোফার্মের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা লিথাং চুচিং চিং ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আবদুল মোক্তাদির চৌধুরী চুক্তিপত্রে সই করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, চীনের রাষ্ট্র্রদূত লি জিমিং, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এছাড়া বেইজিং থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান

অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপমহাপরিচালক চেন সং, সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংজান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সিনোফার্মের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ফু কুয়াং।
চুক্তির আওতায় চীনের সিনোফার্মের এ টিকা দেশীয় কোম্পানি ইনসেপ্টার মাধ্যমে উৎপাদন করা (ফিল ফিনিশড) হবে। শুধু বেসরকারি পর্যায়েই নয়, সরকারিভাবেও করোনার টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইনসেপ্টার অনেক সক্ষমতা। যদি ১০ ডোজের ভায়াল হয় তারা চার কোটি ডোজ মাসে তৈরি করতে পারবে। আর যদি ভায়াল ছোট হয়, তাহলে আরো কম হবে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কবে নাগাদ উৎপাদন করতে পারবে। আমাদের জানিয়েছে, মাস তিনেকের মধ্যে করতে পারবে। কারণ ইনসেপ্টার প্রস্তুতির বিষয় আছে। চীন থেকে বাল্কে আনতে হবে, সব মিলিয়ে এ সময় লাগতে পারে। তার আগেও হতে পারে কিংবা একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
টিকার মূল্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দামের বিষয় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। যখন উৎপাদনে যাবে, তখন আলোচনা করে একটা দাম নির্ধারণ করা হবে। বাইরে থেকে আনতে যে দাম প্রয়োজন হয়, তার থেকে অবশ্যই কম পড়বে।
জাহিদ মালেক জানান, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ১০ লাখ টিকা পেয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ডোজের ১ কোটি ৫৪ লাখ ও দ্বিতীয় ডোজের ৫৪ লাখসহ মোট দুই কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হাতে আরো এক কোটি ডোজ টিকা মজুত রয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২২ আগস্টের মধ্যে আরো ৫০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে। সিনোফার্ম থেকে কোভ্যাক্স ও উপহারসহ মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি। কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন দেশ যেমন- চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে টিকাপ্রাপ্তির ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। স¤প্রতি চীনের সঙ্গে ৬ কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। ফলে আমরা এখন থেকে টিকা পেতেই থাকব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দেশে আর টিকার সমস্যা হবে না। দেশেই টিকার উৎপাদন হবে। সরকার বিদেশ থেকে অনেক টাকা খরচ করে টিকা কেনে। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে সবাই বিনা পয়সায় টিকা পাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়