কাগজ প্রতিবেদক : নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে দেশে। যেটি পেরুর ভ্যারিয়েন্ট ল্যাম্বডা (সি.৩৭) নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) গবেষণায় এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইতোমধ্যে পেরুসহ বিশ্বের ২৮টির বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়েছে।
রাজধানীর একজন ৪৯ বছর বয়সি নারীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং করে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পায় বিসিএসআইআর। মার্চ মাসে সংগ্রহকৃত ৪০টির মতো নমুনার সিকোয়েন্সিং করে একটিতে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এরপর একই প্রতিষ্ঠান আরো ১০০টির কাছাকাছি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। তবে সেখানে এই ভ্যারিয়েন্টের আর কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশে পাওয়া ভ্যারিয়েন্টটিকে ল্যাম্বডা বলা হলেও এটিতে তেমন ক্ষতিকর মিউটেশন নেই। যা স্বস্তির বিষয়। তবে ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন সবাইকে মাস্ক পরে টিকা নিয়ে সংক্রমণ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিসিএসআইআরের গবেষক ড. মো. সেলিম খান সাংবাদিকদের জানান, এ নিয়ে তারা খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়। কারণ তারা গবেষণায় যেসব তথ্য পেয়েছেন তা ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টের মোটামুটি কাছাকাছি। সে জন্যই তারা এটিকে ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট বলে দাবি করছেন। তবে এরপর যেহেতু এই ভ্যারিয়েন্ট আর পাওয়া যায়নি, তাই এটি আমাদের এই অঞ্চলের জন্য তেমন আতঙ্কের কিছু নয়।
প্রসঙ্গত করোনার ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টের মূল উৎপত্তিস্থল এখনো অস্পষ্ট। তবে ২০২০ সালের আগস্টে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। পেরুর জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মে, জুন, জুলাই মাসে দেশটিতে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ছিল এই ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টের। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান আবিষ্কৃত করোনা প্রতিরোধী টিকা এ ভ্যারিয়েন্টের জন্য কার্যকর নয়। অর্থাৎ কেউ ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে তার শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।