বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : ১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। গতকাল রবিবার রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা বিতরণের এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাস। এতে আরো বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, এম এ রাজ্জাক, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর মাকসুদা সামসের, ইসমত তাকের বাবু, আ ন ম গোলাম জিলানী, সদস্য সচিব আলী হোসেন। অনুষ্ঠানে অসহায়দের মধ্যে সেলাই মেশিন, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, হুইলচেয়ার, রিকশা, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না- তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তার জন্ম না হলে আমরা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নামক দেশের স্বপ্ন দেখেননি, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেছেন। ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে প্রস্তুতি করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ পর্যন্ত তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল একটি বিশাল পরিকল্পনাকে সামনে নিয়ে। সেই পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আমরা দেখেছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য ১৪ ডিসেম্বর দেশের বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, আইনজীবী ও প্রকৌশলীদের হত্যা করা হয়। মেধা হচ্ছে একটি জাতির সব থেকে বড় সম্পদ। এটা যদি না থাকে তাহলে একটি দেশ বা প্রতিষ্ঠান সামনে এগুতে পারবে না। আর সে জন্যই তাদের পরিকল্পিতভাবে বাছাই করে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই সকল নেতাদের জেলখানায় হত্যা করা হয়। আর জেলখানার নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা। অর্থাৎ একটি জাতিকে পঙ্গু করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবকিছু বাস্তবায়ন করা হয়। এতেও তারা ক্ষান্ত হননি। একুশে আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও নির্মমভাবে গ্রেনেড হামলার শিকার হতে হয়। এছাড়া আরো অনেক ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্য দিয়েও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণময় ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের। বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পর্যাক্রমে সেই দিকে অগ্রসর হচ্ছে দেশ।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস যেভাবে সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে সেখানে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। অনেক দেশ এখনো টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি- সেখানে আমরা ইতোমধ্যে ফ্রন্ট লাইনারদের টিকা শেষ করে গণহারে তা দেয়া শুরু করেছি।
চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, আমাদের রাজনীতি হচ্ছে মানবতার পাশে দাঁড়ানো, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো। আর এটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। আগস্টের শোকাবহ এই মাসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চাই হবে তাকে স্মরণ করার উত্তম পন্থা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়