বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

করোনাকালে নতুন আতঙ্ক ডেঙ্গু

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। হঠাৎ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চীনা কর্তৃপক্ষের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর দেশটির হুবাই প্রদেশের উহান শহরের সামুদ্রিক খাবার এবং প্রাণী জাতীয় খাদ্যের দোকান থেকে ভাইরাসটি প্রথম ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে ২২০টি দেশে এখন পর্যন্ত মোট ২০ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৮৬ জন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে মোট ৪৩ লাখ ৩১ হাজার ১৪৫ মানুষ। বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম এ রোগে মৃত্যু ঘটে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২ জন মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে মোট ২৩ হাজার ৩৯৮ জন। গণহারে ভ্যাকসিনেশন শুরু হলেও বিশাল এই জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। দেশ যখন করোনা মহামারি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে তখন নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে ডেঙ্গু মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। চলতি বছর এ নিয়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ১৯২ জনের শরীরে। তাদের মধ্যে জুলাইতে শনাক্ত হয় ২ হাজার ২৮৬ জন। আগস্টের প্রথম ১১ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৩৪ জন। এডিস মশা ডেঙ্গু জীবাণু বহন করে। পুরনো টায়ার, ফেলে রাখা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, ভাঙা বালতি, ইটের গর্ত, পরিত্যক্ত অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে এবং বংশবিস্তার করে। চার-পাঁচ দিন সময়ের মধ্যেই জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। কিছুদিন ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে এডিস মশার বিস্তার ফলে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও।
২০২০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। সে বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং মৃত্যু ঘটেছিল মোট ৩০০ জনের। ২০২১ সালের এ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এটি ২০১৯ সালের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এখন থেকে সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে শিগগিরই এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে। এখন থেকে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক হতে হবে বাড়ির আশপাশে নষ্ট টায়ার, নষ্ট বোতল, টব ইত্যাদিতে পানি জমে যাতে মশার বংশবিস্তার না হয়, তাই সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত কীটনাশক ছিটানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। করোনা মহামারিতে দেশের অবস্থা করুণ; এর মধ্যে যদি ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি হবে আরো ভয়াবহ। তাই সঠিক সময়ে সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
মো. তাজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়