বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

আধুনিক ও মডেল পৌরসভা গড়ে তুলব : নাজমুল আলম স্বপন মেয়র, কচুয়া পৌরসভা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাকিবুল হাসান, কচুয়া (চাঁদপুর) থেকে : চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ন আমার একটি লক্ষ্য। আগে পৌরসভার যেসব ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো প্ল্যান মাফিক করা হয়নি। যার ফলে জলাবদ্ধতাসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয় পৌরবাসীকে। আমি প্রত্যাশা করি, পৌর নাগরিকরা সবাই মিলে সহযোগিতা করলে পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে এ পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব।
১৯৯৮ সালে গঠিত এ পৌরসভাটি (তৃতীয় শ্রেণি) গঠন করা হয়। বর্তমানে এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড ও ১১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এ পৌরসভায় প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসতি। ভোটার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে মেয়র নাজমুল আলম স্বপন পৌরসভাটিকে বাল্যবিয়েমুক্ত পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর থেকে এ পৌরসভা এলাকায় কোনো বাল্যবিয়ে নেই বললেই চলে।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার পরও পৌর এলাকা থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাকে ফাঁকি দিয়ে চলছে মাদকের বেচাকেনা ও ব্যবহার। তবে তা নির্মূলে পৌর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে বলে দাবি মেয়রের। গত তিন মাসে পৌর এলাকার চিহ্নিত চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পৌর শহরে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার এক বছর পর থেকে। তবে পৌরবাসী সুপেয় ও মিষ্টি পানির জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়নের দাবি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। পৌরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের প্রচেষ্টায় ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে

ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি পৌর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিলে এটি চালুর মাধ্যমে পৌরবাসীর সুপেয় ও মিষ্টি পানির চাহিদা পূরণ করা হবে।
পৌর উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরসভার উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। বর্তমানেও পৌর এলাকার ছোট-খাটো রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণে ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। কিছু কিছু সড়কে আগে থেকেই সড়কবাতি লাগানো রয়েছে, আর যেসব সড়কে তা লাগানো হয়নি সেসব সড়কে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কবাতি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ও এডিপির অর্থায়নে পৌর শহরে কাঁচা, আরসিসি ও পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ পৌরসভায় ৭২.৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, ৩৬.৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে।
কোভিড-১৯ শুরুর পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন সহায়তার পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ ও আমার ব্যক্তিগত তরফ থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী, নগদ অর্থ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। পৌর এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
মেয়র বলেন, পৌরবাসীর বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন, প্রতিবন্ধী ও পুষ্টি ভাতা পেতে কোনো প্রকার অর্থের প্রয়োজন হয় না। ৯টি ওয়ার্ডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ভাতার কার্ডগুলো সত্যিকারে প্রাপ্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পৌরবাসীর পৌর কর, জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদ থেকে শুরু করে সব কর্মকাণ্ড ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে পৌর এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে নতুন প্রজন্ম একটি ডিজিটাল শহরে বাস করতে পারে।
এ পৌরসভায় নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য কোনো প্রকার বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে থানা পুকুরের চারপাশে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। এ পার্কটি পৌর এলাকার শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়