একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ : হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ঘর

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দৈনিক ভোরের কাগজে সংবাদ প্রচারের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহনির্মাণের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। গত ১৪ জুলাই ‘চালের স্ক্রু ঠিক আছে কিনা ইউএনও উঠে তা দেখবে না’ এই শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি জেলা প্রশাসন আমলে নিলে সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে মাঠে নামেন জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর আশ্রয়ণ প্রকল্পে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি রয়েছে এমন খবরও ছিল সংবাদটিতে।
পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নারায়ণডহর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমির পরিমাপে দেখা যায় স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের স্বর্গীয় সুধীর চন্দ্র দাসের ১.৫ শতাংশ জমিতে উপজেলা পরিষদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘরের অধিকাংশই নির্মাণ করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, এখানে ঘর নির্মাণ করার সময় কেউ বলেনি যে এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা। পরে আমরা গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জমির মালিকদের নিয়ে পরিমাপ করে দেখি আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্মিত ঘরের আধা শতাংশ জমি অভিযোগকারীদের অনুকূলে এবং বাকি দুটি ঘরের পর্যাপ্ত জায়গার জন্য আরো এক শতাংশ জায়গার প্রয়োজন। তাই মোট ১.৫ শতাংশ জায়গা জমির মালিকদের কাছ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রয় করতে চাইলে জমির মালিকরা বিক্রি করতে রাজি হয়নি। তাই ঘরটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৪টি ঘরের মধ্যে ২টি ঘর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ঘর ব্যক্তিমালিকানা জায়গার কিছু অংশে পড়েছিল। পরে জমির মালিকের কাছ থেকে ওই জমিসহ দেড় শতক জমি ক্রয়ের প্রস্তাব দিলেও তারা বিক্রি করেননি। তাই এই ঘরটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং এর ব্যয়ভার আমিই বহন করব।
অন্যদিকে সরকারি সার্ভেয়ারের পরিমাপে সন্তুষ্ট হয়নি জমির মালিকপক্ষ। জমির মালিকের ছেলে প্রেমানন্দ দাস বলেন, আমরা সরকারি আমিনের (সার্ভেয়ারের) সঙ্গে আমাদের স্থানীয় আমিনকে রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু প্রশাসন তাকে সেখানে জমি পরিমাপের সময় উপস্থিত থাকতে দেয়নি। তারা মনগড়াভাবে জমির পরিমাপ করে ও বলে আমাদের ১.৫ শতাংশ জমি নির্মিত ঘরের মধ্যে পড়েছে। আমরা এর আগেও বলেছি এখানে আমাদের জায়গা রয়েছে কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা আমাদের কোনো কথাই শুনেনি উল্টো হয়রানি করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাজের জন্য জমি দেবো কিন্তু আমাদের হয়রানি করার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়