একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর ভাষ্য

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।

রাজনৈতিক কথাবার্তা ও আলাপ আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদের প্রস্তুতিও সমাপ্তির পথে নিয়ে যাচ্ছিল। যা তারা শাসনতান্ত্রিক পন্থায় পেতে ব্যর্থ হতে পারে তা শক্তির মোকাবিলায় আদায় করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্যে।
নির্বাচনের সন্ত্রাসবাদীদের কলাকৌশলের সাফল্য শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার দলের সাহস বাড়িয়ে দিল। তারা বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থাকে বানচাল, ছাত্রসমাজকে উত্তেজিত এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাঙালিদের দলভুক্ত করার জন্য আন্দোলন শুরু করলেন। বিভিন্ন শহরে ‘সংগ্রাম পরিষদ’ গড়ে উঠল এবং কলেজের প্রাঙ্গণগুলো সন্ত্রাসবাদীদের শিক্ষা শিবিরে পরিণত হলো। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী এবং সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের আন্দোলন শুরু করা হলো। বহু পূর্ব থেকেই অর্থাৎ ১৯৭০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার আওয়ামী লীগ সমর্থক দৈনিক ‘দি পিপল’ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট এ এইচ এম কামারুজ্জামানের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, তিনি প্রকাশ্যভাবেই মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতি।
এভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সব প্রস্তুতি নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ প্রেসিডেন্ট কর্তৃক জাতীয় পরিষদের বৈঠক সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণাকে ছুতো হিসেবে ব্যবহার করে আরম্ভ করলেন এক অরাজকতার আন্দোলন। এরপর অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ শুরু করল এক সন্ত্রাসের রাজত্ব।
১ মার্চ রাইফেল সংগ্রহ : এক

সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় ধর্মঘট আহ্বান করলেন। তার ধর্মঘট আহ্বানের পর পরই আওয়ামী লীগের চরমপন্থিরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ এবং অন্যান্য বর্বরোচিত কার্যকলাপে মেতে উঠল। তারা নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব আক্রমণ করে সব অস্ত্রশস্ত্র লুট করে নিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকবাল ও জগন্নাথ হলে সশস্ত্র দল গড়ে উঠল। তাদের কাজ ছিল শহরে ছড়িয়ে পড়ে অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় ও অর্থ সংগ্রহ করা। ১ মার্চ তারিখের ঢাকা নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র হিংসাত্মক কার্যকলাপের তীব্রতা ও সংখ্যা বেড়ে গেল।

আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘২ মার্চ : পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হলো’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়