একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই : এম হুমায়ুন কবীর, কূটনৈতিক বিশ্লেষক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশি নাগরিকরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা পায়, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরও তার সব সুবিধা দিতে হবে ঢাকাকে- বিশ্বব্যাংকের এমন প্রস্তাবে চিন্তিত নন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক এম হুমায়ুন কবীর। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাই বলুক না কেন তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আর পরিষ্কার থাকার কারণেই

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রস্তাবের বিপরীতে কড়া অবস্থান নিয়ে বিরোধিতা করেছে আমাদের সরকার। শুধু সরকার নয়, আমাদের সংসদীয় কমিটিও বিশ্বব্যাংকের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
কিন্তু বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবের আড়ালে রোহিঙ্গা জাতিসত্ত্বা পরিচয় কি বিলীনের পথে যাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং রোহিঙ্গা-এই তিনপক্ষ এখানে মুখ্য। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে। বাকিরা তো সাপোর্টিং। কাজেই এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ছুটে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১০ লাখের বেশি। কারণ আশির দশক থেকেই তারা দলে দলে আসছে বাংলাদেশে। এতদিন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের রাখা হলেও সম্প্রতি নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে আশ্রয় পরিকল্পনা করে এরই মধ্যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা। এ রকম পরিস্থিতিতে চলতি আগস্টের শুরুতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তাব দিয়ে জানায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের মূল সমাজে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, আমরা কোনো শরণার্থী আশ্রয় দেইনি। আমরা বিপদগ্রস্ত, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ তাদের মাতৃভূমিতে আছে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাই তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, তারা (ইউএনএইচসিআর) রোহিঙ্গাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। আমরা বলেছি, না আমরা এটা গ্রহণ করতে পারছি না। রোহিঙ্গা সমস্যা সাময়িক। এ নিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। আমরা আমাদের এ কথা তাদের জানিয়ে দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়