খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

প্রতিরোধ ও জনযুদ্ধ

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবির্ভূত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভূমিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
পাকিস্তান গোয়েন্দা রিপোর্টে কুষ্টিয়া, পাবনা ও রাজশাহীর প্রতিরোধ ও প্রতিবন্ধকতায় বিব্রত ও দুশ্চিন্তা হওয়ার বিষয় বিবৃত রয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে ২৭ বেলুচ বাহিনীর এক কোম্পানি মেজর শোয়েবের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া দখল করতে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তার করতে আসলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথম দিন ৬ জন মুক্তি সেনা নিহত হয়। গ্রামগঞ্জ হতে হাজার হাজার জঙ্গি জনগণকে সংগঠিত করা হয়। যার যা আছে তাই নিয়ে এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে ইপিআর নিয়ে এসে আক্রমণ করলে পাকিস্তান সেনা নিহত হয় ও পালিয়ে যাওয়ার সময় কুষ্টিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে

এক কালভার্ট যা গণগেরিলারা ভেঙে ফেলেছিল সেখানে দাঁড়ালে চারদিক থেকে গোলাগুলি বর্ষিত হয়। তারা মারা যায়। কিছু সৈন্য পালাতে চেষ্টা করলে গ্রামের লোক তাদের ধরে ফেলে পিটিয়ে মারে।
পাকিস্তান গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া এবং পাবনায় তাদের ব্যাপক হতাহত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র প্রতিটি জেলা, থানা ও গ্রামে জনগণ পাকিস্তান বাহিনীর ধ্বংস সাধনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। থানা থেকে যুব ছাত্রশক্তি অস্ত্র সংগ্রহ করে গেরিলা যুদ্ধের ভিত্তি রচনা করে।
জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত জঙ্গি প্রতিরোধ ও সশস্ত্র শক্তির মোকাবিলা করে পাকিস্তানি বাহিনীকে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ করে জেলা শহরগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এমনকি তাদের ১১ মে পর্যন্ত যুদ্ধ চালাতে হয়েছে। জনগণ ও বাঙালি সশস্ত্র শক্তির হাত থেকে তারা ১০ এপ্রিল নগরবাড়ি ঘাট, পাবনা, পাকশী, সিলেট উদ্ধার করে।

আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘নাথিং উইল গো অন-চ্যালেঞ্জড’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়