গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এবং মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন দেশের ২০ বিশিষ্ট নাগরিক ও সম্প্রীতি পরিষদ নামের একটি সংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিশিষ্ট নাগরিকরা বিবৃতিতে বলেন, খুলনার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, করোনাকালীন সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, এটা তারই আর একটি লজ্জাজনক উদাহরণ। তারা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিভিন্ন কৌশল আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর মাত্রা অনেক বেড়েছে। আমরা পাবনার সাঁথিয়া (২০১৩), কক্সবাজারের রামু (২০১২), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর (২০১৬), ভোলার মনপুরা (২০২০), সুনামগঞ্জের শাল্লার (২০২১) ঘটনাগুলো জানি ও এ ধরনের ঘটনা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছি এবং দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ বিচারের দাবি করে আসছি। কিন্তু এখনো বেশির ভাগ ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি এবং প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসেনি। আমরা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, সম্প্রীতি বাংলাদেশের পক্ষে সাইফ আহমেদ প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনার ঘাটভোগ ইউনিয়নে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাষ্ট্র, সরকার, এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতামূলক জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক উসকানিসহ যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিরোধে সব সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
বিবৃতিদাতারা হলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী এড. সুলতানা কামাল, সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক, নিজেরা করি’র সমন্বয়ক ও নারী নেত্রী খুশী কবির, টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এড. রানা দাশগুপ্ত, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এড. সুব্রত চৌধুরী, আইনজীবী এড. জেড আই খান পান্না ও সিনিয়র আইনজীবী এড. তবারক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, রিব এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, বেলার প্রধান নির্বাহী এড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন এবং এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়