খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

জনস্বার্থ মামলার রায় বাস্তবায়নে ধীরগতি : ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের পরামর্শ আইনজ্ঞদের

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তানভীর আহমেদ : ঢাকার চারপাশের নদীদখল ও দূষণ রোধ, শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণ, সরকারি হাসপাতালের রুগীদের কাছ থেকে ভ্যাট ও ইউজার ফি আদায় বন্ধসহ অসংখ্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলার রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব রায় বাস্তবায়ন হয় না। এগুলো তদারকিতে কোনো কার্যকর পরিকল্পনাও নেই। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়গুলোর বাস্তবায়নে ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
সুপ্রিম কোর্টের তথ্য মতে, দুধে ভেজাল, পানি দূষণ, পরিবেশ দূষণ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, নদীদখল ও দূষণ রোধ, খাদ্যপণ্যে ফরমালিন ঠেকানো এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে জনস্বার্থে মামলা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় এ ধরনের মামলা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আইনজীবীরা কখনো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে, আবার কখনো কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট (পিআইএল) করেন। উচ্চ আদালতও এসব মামলা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে প্রতিকার দিতে এগিয়ে আসছেন। কখনো কখনো স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও এ জাতীয় আদেশও দেন তারা। এসব ছাড়াও ঢাকার চারপাশের নদীর রক্ষণাবেক্ষণ, মহাস্থানগড় সংরক্ষণ, পেপার স্প্রে নিষিদ্ধ করাসহ জনগুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের কবরটি ঠিক রেখে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ভেঙে ফেলতে গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল ডিভিশন), ঢাকার জেলা প্রশাসক ও শাহবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে নির্দেশ, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ফরমালিন ও রাসায়নিকযুক্ত খাদ্যদ্রব্য আমদানি নিষিদ্ধ, সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের থেকে ইউজার ফি হিসেবে অর্থ আদায়ও অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে মামলার রায় বাস্তবায়ন সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, এ ধরনের মামলা আমাদের জন্য একটি নতুন বিষয়। গত কয়েক বছর ধরে এই

ধরনের মামলা হচ্ছে। এসব মামলার রায় পুরোপুরি না হলেও কিছুটা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আস্তে আস্তে বাস্তবায়নের হার আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ এর চেয়ারম্যান এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য কোনো মনিটরিং সেল নেই। তাছাড়া আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ব্যক্তি স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়। রায় বাস্তবায়ন না হলে সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা যায়। যে কেউ আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করতে পারেন। কারণ সুপ্রিম কোর্ট একটা রায় দিলে সেটা ‘পাবলিক ডকুমেন্ট’ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা তৈরি না হলে এবং প্রশাসনকে জনস্বার্থ মামলার নির্দেশনা কঠোরভাবে পালনে উদ্বুদ্ধ করা না গেলে কোনো চেষ্টাই সফলতার মুখ দেখবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়