গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া রাস্তা ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া-ঢাকা মহাসড়কের কাওনা বাজার এলাকায় নরসুন্দা নদের ওপর নির্মাণাধীন সেতু সংলগ্ন ডাইভারসন রাস্তাটি ভেঙে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই উপজেলার হাজার হাজার পথচারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণের কাজ পায় জেলার এস আলম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার পশ্চিম পাশ দিয়ে শুকনো মৌসুমে নদের পানি প্রবাহের জন্য ডাইভারসনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অভিজ্ঞদের মতে এ রকম সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে ডাইভারসনে আরসিসি পাইপ অথবা বেইলি দিয়ে গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হয়। কিন্তু কাওনা সেতুতে সে রকম কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নদের পানি বৃদ্ধি ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দুর্বল ডাইভারসন রাস্তাটি ভেঙে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু নির্মাণের আশপাশে কোনো সতর্কমূলক সাইনবোর্ড বা নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা নেই। এমনকি কত টাকা ব্যয়ে কোন প্রতিষ্ঠান তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সে রকম কোনো কিছুই দৃষ্টিগোচরে নেই। যেজন্য অনেক অচেনা যাত্রী এ রাস্তায় চলে এসে সেখান থেকে আবার পিছন দিকে ১৫-২০ কিলোমিটার ঘুরে গিয়ে বিকল্প রাস্তায় পাকুন্দিয়া কিংবা ঢাকার গস্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
এ সময় কথা হয় কাওনা গ্রামের বাসিন্দা জালাল মিয়া, শামছুল আলম, আনোয়ার হোসেন রেণু, পাকুন্দিয়া উপজেলার দগদগা গ্রামের আব্দুল কাদির ইসমাইলসহ অন্তত ২০/২৫ জনের সঙ্গে। তাদের অভিযোগ, ৭ দিন ধরে হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কে ভাঙন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় স্থানীয়দের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য আশপাশের বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে সবজি নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান জানান, হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের যান চলাচল স্বাভিাবিক রাখতে ও জনগণের দুর্ভোগ লাগবে নদীর পানি প্রবাহের জন্য অতি শিগগিরই ভাঙনের স্থানে মোটা আরসিসি পাইপ দিয়ে মাটি ভরাট করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়