হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের সব কার্যক্রম। ভবনের ছাদ, বিম ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। আবার অনেক স্থানে বেরিয়ে এসেছে মরিচা ধরা লোহার রড। বিভিন্ন স্থানে ধরেছে বড় বড় ফাটল। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, হাকিমপুর উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এখান থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। তারপরও রাস্তাঘাট এমনকি উপজেলাটি অবকাঠামোর দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। সরকার সুনজর দেবে বলে আশা তাদের।
হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, যখন অফিসে বসি তখন প্রায়ই ছাদের পলেস্তারা খুলে গায়ের ওপর পরে। সব সময় ভয়ে থাকি। যেদিকে তাকাই ফাটল আর ফাটল। যার জন্য খুব অল্প সময় অফিসটিতে বসে কাজ করি। তবে বেশির ভাগ সময় খাদ্যগুদামের অফিসে বসি।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-আলম জানান, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসটি ব্যবহারের অনুপযোগী, সেটা ঠিক। তবে ইতোমধ্যে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়ে এলে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।