গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

হাওরের প্রবেশদ্বার কালী নদী এখন আবর্জনার ভাগাড়

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আলি হায়দার, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) থেকে : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সদর ও বাজার ঘেঁষে বয়ে চলা হাওরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মেঘনা নদীর শাখা ‘কালী নদী’ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
প্রতিদিন এখানে ফেলা হচ্ছে মৎস্য আড়ত ও পৌর এলাকার বর্জ্য। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে মাছের বংশবৃদ্ধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রকাশ্য দিবালোকে এসব বর্জ্য ফেলা হলেও এটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। বরং সংশ্লিষ্টদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতেই চলছে এ কাজ। নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদী ধ্বংসের মহোৎসবে যেন মেতেছেন কুলিয়ারচর পৌরবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চঘাট, নৌঘাট, মৎস্য আড়ত ঘাট, সবজি মল, মাছ বাজার মল, জিল্লুর রহমান সেতু ঘিরে নদীর তীরে গড়ে ওঠা কফি শপের নিয়মিত পচা ও উচ্ছিষ্ট খাবারসহ নানা রকমের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। এছাড়া কুলিয়ারচর বাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একইভাবে তাদের বর্জ্য ফেলছে এ নদীতে।
কুলিয়ারচর লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকালের আড়ত শেষে মাছ বহনের বড় বড় প্লাস্টিক ও ককশিটের বানানো জুড়ি ফেলা হচ্ছে নদীতে। শতাধিক আড়ত ব্যবসায়ী এভাবেই ফেলছেন তাদের প্রতিদিনের বর্জ্য। এছাড়া কুলিয়ারচরের পৌর এলাকার বর্জ্যও এখানে ফেলা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বলেন, মৎস্য আড়ত ও পৌর এলাকার বর্জ্য নদীতে না ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তারপরও কেউ ময়লা ফেললে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়