গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

শেরপুরে বিএডিসির খাল খনন ও কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : শেরপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) খাল খনন ও কালভার্ট নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যথাসময়ে কালভার্ট নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকের শতাধিক একর আবাদি জমিতে আমন ধান রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালে বিএডিসি সেচ প্রকল্পের আওতায় শেরপুর উপজেলার ৬নং বিশালপুর ইউনিয়নের বিরাকৈর থেকে গোয়ালবিশ্বা শিমলা সাতবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার খাল খনন কাজ শুরু হয়।
কৃষকদের সেচ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওই খাল খনন কাজে প্রতি কিলোমিটারে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া খালের বিভিন্ন স্থানে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখা এবং পাওয়ার টিলার পারাপারের জন্য তিনটি কালভার্ট নির্মাণ করার কথা। কালভার্টগুলো নির্মাণে আরো ২৭ লাখ টাকা চুক্তিতে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু যথাসময়ে কাজ না করায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এলাকার কৃষক সফির উদ্দিন, মঞ্জু মিয়া, সফিকুল আলম, লাল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞাত কারণে কালভার্টের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় ফেলে রাখা সিমেন্টের বস্তা জমাট বেঁধেছে। আর পুরনো বিল্ডিংয়ের কেনা রডগুলোতে অনেক আগে থেকেই মরিচা ধরেছে গোটা অংশে।
এদিকে কালভার্টের পাটাতন ঢালাই কাজে বিএডিসি অফিসের কোনো তদারকি না থাকায় প্রতি স্কয়ার ফিট ঢালাইয়ে মেশানো হয়েছে পাথরের পরিবর্তে নিম্নমানের ইটের খোয়া। আর ঢালাই কাজে ১২ ইঞ্চি উচ্চতার পরিবর্তে দেয়া হয়েছে মাত্র ৮ ইঞ্চি। তাদের অভিযোগ, যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে আবাদি জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রতন মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, বিএডিসির সেচ প্রকল্পের আওতায় শেরপুরের বিশালপুরে শিমলা গ্রামের মাঝে চলমলিয়া মুচারগাড়ীর দক্ষিণে একটি কালভার্ট নির্মাণকাজ চলমান আছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে খালের উপরে ওই কার্লভার্টের নির্মাণকাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে খালের অপরপ্রান্তে জমে থাকা পানি বিকল্প পথে বের করে দেয়ার পর জমিতে ফসল রোপণ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ফসলি জমি পতিত থাকার কোনো সম্ভবনা নাই। এছাড়া কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বিএডিসি শেরপুর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মো. মাসুদুল করিম রানা জানান, বিরাকৈর থেকে শিমলা পর্যন্ত খাল খননে কোনো অনিয়ম হয়নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খালের গভীরতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিএডিসি বগুড়ার সহকারী প্রকৌশলী মো. আসমাউল আলম জানান, খাল খননের কাজ আগেই শেষ হয়েছে।
খালের উপরে নির্মিতব্য কালভার্টের সাইডে যাওয়া সম্ভব হয়নি রাস্তায় কাদা থাকার কারণে। সেখানে জমে থাকা পানি বিকল্প পথে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়