গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

মোশাররফ হোসেন মেয়র, বাগাতিপাড়া পৌরসভা > আধুনিক শহরে রূপান্তর করতে চাই

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিজানুর রহমান, বাগাতিপাড়া (নাটোর) থেকে : নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান মোশাররফ হোসেন। ২০০৬ সালে প্রথম নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০০৮ সালে পদবি পরিবর্তন হয়ে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটানা প্রায় ১৬ বছর ধরে এই পৌরসভার চেয়ারে রয়েছেন তিনি। ২০০৬ সালের নির্বাচনের পর ২০১১ সালে তার মেয়াদ শেষ হলেও মামলাজনিত কারণে নির্বাচন না হওয়ায় মেয়র হিসেবে তিনিই দায়িত্ব পালন করছেন। এর মাঝে হাতেগোনা কয়েক দিন দায়িত্ব পালন করেন প্যানেল মেয়র ইউসুফ আলী। ১০.৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত পৌরসভার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
দীর্ঘ ১৬ বছরে পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কতটা সফল তিনি এমন প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিবেদককে মেয়র মোশাররফ হোসেন বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি সফল। কারণ পৌরবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। অনেকেই এই পৌরসভার সমালোচনা করেছেন, বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু আজ পৌরবাসী সুবিধা ভোগ করছেন। ২০০৬ সালে পৌরসভায় শতভাগ স্যানিটেশন বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া এমএসপি, নগর উন্নয়নসহ পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, স্ট্রিট লাইট স্থাপনসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
পৌরসভা নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বাগাতিপাড়া পৌরসভাকে তিনি আধুনিক শহরে রূপান্তর করতে চান। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। বাকি কাজ সম্পন্ন করে আধুনিক শহর উপহার দিতে চান পৌরবাসীকে। সেজন্য পৌরসভায় অডিটোরিয়াম, খেলার মাঠ, বর্জ্য

থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনসহ পৌর পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তার। সবার সহযোগিতা পেলে তার সময়ের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশা রাখেন তিনি।
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় পৌরবাসীর পাশে থেকে কতটা সহযোগিতা করতে পেরেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পৌরবাসীকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন। করোনায় ১ থেকে ২ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তার পৌরসভায়। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রায় ২০ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের বাড়িতে খাবার ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি মুজিববর্ষসহ সরকারের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিলেন তিনি।
সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, একটি পৌরসভা জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সে চলে। করোনায় গত দেড় বছর পৌরসভার আয় বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ যেখানে জীবন জীবিকা বাঁচাতে পারছে না সেখানে ভ্যাট ট্যাক্স দেবে কী করে। দোকান বন্ধ, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে না, হাটবাজার টেন্ডার হচ্ছে না। পৌরসভার আয় বন্ধ। তাই কর্মচারীদের বেতন সঠিকভাবে দিতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়