গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমির আলোচনা : ‘শোক এখন শক্তি ও জাগরণের উৎসবিন্দু’

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগস্ট শোকের মাস। তবে শোক এখন পরিণত হয়েছে শক্তি আর জাগরণের উৎসবিন্দুতে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশ যেমন ভেসে গিয়েছে, তেমনি তার অভাব ও অপূর্ণতা দূর করতে আজ এগিয়ে এসেছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট ২০২১’ শিরোনামে অনলাইনে আলোচনা, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মূল বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক প্রাবন্ধিক শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শিরীণ আখতার। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত ‘বাংলার প্রমিথিউস’ কবিতা পাঠ করেন কবি রুবী রহমান। কবি রফিক আজাদ রচিত ‘এই সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে’ কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম এবং কবি খালেদা এদিব চৌধুরী রচিত ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী দেওয়ান সাইদুল হাসান। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই এবং বাংলা একাডেমির বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ গ্রন্থমালার ডিজিটাল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।
শিরীণ আখতার আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। এখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অসাধারণ এক দৃষ্টান্তের নাম। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে ব্রত নিয়ে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনীতি করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও সেই দুঃখী মানুষের ভাগ্য বদল করতে এবং বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট ভারত সফররত সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর কারাবন্দিত্বের বিষয় উদ্বেগপূর্ণ মনোভাব ব্যক্ত করেন জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট। অপরদিকে মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কণ্ঠেও বঙ্গবন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ধ্বনিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১০ আগস্ট চালনা বন্দর শ্রমিকদের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ‘চালনা বন্দর-শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন’-এর সংবাদ প্রকাশিত হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতা আনয়ন করেননি; স্বাধীনতার পর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তিভূমিও স্থাপন করেন। তার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক প্রভূত উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়েপড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেন। তাই একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মহান রূপকার ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বদেশ গড়ার মূল কারিগর।
স্বাগত বক্তব্যে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মরণে বাংলা একাডেমির মাসব্যাপী অনলাইন আয়োজন বিষয় বৈচিত্র্যে ভাস্বর। ইতোমধ্যে তা সুধী দর্শক-শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়