কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামে ৩ কিলোমিটার একটি সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া সবুজ নামে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় এলজিইডি অফিস বলছেন, ওই ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে নিম্নমানের ইটগুলো সড়িয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পিছনে ব্রিজের পাড় থেকে দক্ষিণ গড্ডিমারী মোক্তার পাড়া স্কুলের সামন দিয়ে গড্ডিমারী তারুর মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের প্রকল্প নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
১ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি পাকাকরণের দায়িত্ব পান এমপিএস এন্ড আরটি জেভি নমিনেট ও মেসার্স রিফাত ট্রেডার্স নামে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশনের ভিত্তিতে সড়কটি পাকাকরণের সাব ঠিকাদারির দায়িত্ব পান মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া (সবুজ) নামে এক ঠিকাদার। ঠিকাদার সবুজ ওই সড়ক পাকাকরণের দায়িত্ব পেয়ে শুরু থেকেই নানা অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন।
ইতোমধ্যে ওই সড়কে ইটের খোয়া সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই ইটের খোয়াগুলো নিম্নমানের হওয়ায় স্থানীয় লোকজন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রকৌশলী হাসেদুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করে নিম্নমানের ইটের খোয়াগুলো সরিয়ে ফেলতে ইতোমধ্যে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়াকে (সবুজ) নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু ঠিকাদার নিম্নমানের ইটের খোয়া না সরিয়ে তা ব্যবহারের চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা খালেক বাবু জানান, নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাতে বাধা দিয়েছেন। ওই ইটের খোয়াগুলো সরিয়ে ফেলতে এলজিইডির পক্ষ থেকে বলা হলেও ঠিকাদার এখন পর্যন্ত সরিয়ে নিয়ে যায়নি। উল্টো ওই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করছেন।
তবে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়ার (সবুজ) দাবি, ওই সড়কে ব্যবহৃত ইটের খোয়াগুলো নিম্নমানের নয়। অনেক ঠিকাদার তার চেয়ে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। তিনি ভালো মানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন তবুও অনেকেই বাধা দিচ্ছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী নজির হোসেন বলেন, অন্য স্থান থেকে খোয়া নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ইট নিয়ে গিয়ে ভাঙতে হবে। ওই ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।