গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

নাগেশ্বরীতে ব্রিজের অভাবে ১৩ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ বি সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম থেকে : জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে তিনটি ব্রিজের অভাবে ১৩ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কোনো মতে ড্রামের উপর অথবা নৌকা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন তারা। গ্রামবাসী যুগের পর যুগ পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার আয়তনে সবচেয়ে বড়, প্রায় জনসংখ্যা ৬২ হাজার ও সীমান্তঘেঁষা, গঙ্গাধর, দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র নদনদী, চরাঞ্চলবেষ্টিত, ভাঙনকবলিত নারায়ণপুর ইউনিয়নের পুর্ব বালারহাটে মরা নদী, চৌদ্দঘুড়ী গ্রামের ব্রহ্মপুত্রের শাখা মরা নদী ও কুলামূয়া মাঝিয়ালী আদর্শগ্রামের ব্রহ্মপুত্রের শাখা মরা নদীতে ব্রিজ না থাকায় পুর্ব বালাহাট, কন্যামতী, চৌদ্দঘুড়ী, আদর্শগ্রাম, কুলামূয়া মাঝিয়ালী, ঝাউকুটিসহ ১৩ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ কোনো মতে ড্রামের উপর অথবা নৌকা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন এবং জমির উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে বেচাকেনা করতে গিয়ে ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। এলাকার গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা বা জরুরি কোনো রোগীকে আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ড্রামের উপর অথবা নৌকার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে অনেকের জীবনাবসান ঘটে যায় নদীর ঘাটেই। ব্রিজ তিনটি নির্মাণের জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলেন, ব্রিজ তিনটি নির্মাণ না হওয়ায় তারা ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতেও ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এদিকে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়। ব্রিজ তিনটি নির্মাণের জোর দাবি জানান তারা। নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাহাজামাল বলেন, এলাকার মানুষসহ শিক্ষার্থীরা নদী পার হয়ে লেখাপড়া করতে আসে এবং পারাপার হয়ে আসতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, নারায়ণপুর ইউনিয়ন একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপচরে অবস্থিত চরাঞ্চল ও আয়তন, জনসংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারের কাছে আবেদন করছি, নারায়ণপুর ইউনিয়নে পূর্ব বালারহাট, চৌদ্দঘুড়ী ও কুলামূয়া মাঝিয়ালী আদর্শগ্রামে তিনটি ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান বলেন, নাগেশ্বরী উপজেলা সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সীমান্তঘেঁষা, নদীবেষ্টিত, চরাঞ্চল নারায়ণপুর। পূর্ব বালারহাট, চৌদ্দঘুড়ী ও কুলামূয়া মাঝিয়ালী আদর্শগ্রামে তিনটি ব্রিজের ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম বলেন, নারায়ণপুর ইউনিয়নে ব্রিজ তিনটি নির্মাণ হলে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সুফল ভোগ করবে। ব্রিজ তিনটি শিগগিরই নির্মাণের জন্য ঊধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিষয়গুলো দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বাজেট) শাহ্ মোহাম্মদ নাছিম এনডিসির সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা সর্বদা প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন করে আসছি। আমাদের ওয়েবসাইটে দেখেন। ব্রিজ তিনটির বিষয়ে আবেদন করেন ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়