নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

মালদ্বীপে সাফ ফুটবল

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। কখন কোথায় এ ভাইরাস আক্রমণ করবে, তা কেউ জানে না। ক্রীড়াঙ্গনেও এ ভাইরাসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তেমনি গত বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘরের মাঠে হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এরপর করোনার জন্য স্থগিত হওয়া এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ছিল আগামী সেপ্টেম্বরে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি এবং বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারের কারণে ঘরের মাঠে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর
সাফ আয়োজন করবে না বাফুফে। তাই অবশেষে আগামী ১-১৩ অক্টোবর মালদ্বীপে হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। গতকাল সাফের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানা গেছে, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশকে টুর্নামেন্ট শুরুর তিনদিন আগে মালদ্বীপে পৌঁছাতে হবে।
সেখানে গিয়েই জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে যাবেন ফুটবলাররা। আর একটি হোটেলে দুটি করে দল রাখা হবে। করোনা পরীক্ষার পর অনুশীলনে নামতে পারবেন ফুটবলাররা।
এ বিষয়ে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল সভা শেষে বলেন, মালদ্বীপে এএফসি কাপের খেলা হবে কদিন পর। সেখানেও চার দল জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে খেলবে। মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাফের আয়োজন করবে। আশা করি, কোনো সমস্যা হবে না এক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ড্র ভার্চুয়ালি করার কথা ভাবছি আমরা।
আগামী সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রাথমিকভাবে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপ এই পাঁচ দল নিয়ে হওয়ার কথা। তবে ভুটান ফুটবল ফেডারেশনও এবারের টুর্নামেন্টে খেলতে আগ্রহী। কিন্তু বিদেশের মাটিতে তাদের খেলতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। সে কারণে ভুটান সরকারের অনুমতি আদায়ের জন্য তিন দিন সময় চেয়েছে। তাছাড়া ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তান খেলছে না। ফলে ভুটানের জন্য অপেক্ষা শেষ করেই হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ড্র। যদি শেষ পর্যন্ত ছয় দলের টুর্নামেন্ট হয়, তাহলে খেলা হবে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে। আর ভুটান খেলতে না পারলে টুর্নামেন্ট হবে লিগ পদ্ধতিতে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি দলই মুখোমুখি হবে প্রত্যেকের বিপক্ষে। এরপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুটি দল খেলবে ফাইনাল। আর গ্রুপ পদ্ধতিতে খেলা হলে সেমিফাইনালে উঠবে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল।
এদিকে টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হতে বাংলাদেশ অনাগ্রহ দেখানোর পর ভারত চেষ্টা করেছিল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভারতও না করে দেয়ার পর মালদ্বীপ ও নেপাল আয়োজক হতে চেয়েছিল। সাফ কর্মকর্তারা শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এ বিষয় আনোয়ারুল হক বলেন, এ মুহূর্তে মালদ্বীপের করোনা পরিস্থিত বেশ ভালো। তাদের দেশে শতকরা ৭৫- ৯০ ভাগ মানুষ করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছে। কিন্তু নেপালে মালদ্বীপের তুলনায় সংক্রমণের হার বেশি। তাই সব মিলিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়