ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় গড়েয়ায় তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মনোরঞ্জন রায় (৫৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার গড়েয়া ইউনিয়নের এসসি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
মনোরঞ্জন রায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের প্রয়াত দিগেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে এবং তিনি গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এর আগে গত শনিবার ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়, তার স্ত্রী সোমারী রায় (৪৮), ছেলে চন্দন রায় (২৬), মেয়ে মালা রানী (৩০), জামাই সৌখিন রায় (৩৫) ও মেয়ে কৃত্তিকা রানীকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে চন্দন রায়ের সঙ্গে মামলার বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামলার বাদী ও চন্দন রায় সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় চন্দন রায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান। এরপর ওই তরুণী চন্দন রায়কে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য মোবাইলে মেসেজ করে। পরে গত রবিবার বিকালে চন্দন কৌশলে ওই তরুণীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় ও তার পরিবারের লোকজন তরুণীকে মারপিট করে এবং বাচ্চা নষ্ট করার জন্য জোরপূর্বক ওষুধ খাওয়ায়। এছাড়া ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় ওই তরুণীর গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক একটি ৩০০ টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়কে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।