নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

অর্ধেক বাস নাকি যাত্রী তা নিয়ে এখনো সংশয় : অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সব বাসই চালাতে চায় মালিকরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা প্রতিরোধী ‘বিধিনিষেধ’ শেষে আগামীকাল বুধবার থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে। তবে তার আগেই সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে পরিবহন মালিক সমিতি। এর ফলে অর্ধেক গাড়ি চলবে, নাকি অর্ধেক আসন ভর্তি করে গাড়ি চলবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনাও শুরু হয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্তে পরিবহন মালিকরা নাখোশ। পরিবহন মালিকরা চাচ্ছেন অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে সব বাস চালাতে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে অর্ধেক বাস চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই অর্ধেক সংখ্যা কীভাবে নির্ধারিত হবে তা নিয়ে বাস মালিকরা প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও অর্ধেক বাস কিভাবে নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সংখ্যা নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। তারা কিভাবে সংখ্যা নির্ধারণ করবেন গতকাল বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেনি। একজন মালিকের কতটি বাস আছে এই পরিসংখ্যানও তাদের কাছে নেই। একজন মালিকের যদি একটি বাস থাকে, তাহলে সেই বাসটি কিভাবে অর্ধেক হয়ে চলবে, অল্পসংখ্যক বাসে যাত্রীর চাপ কিভাবে সামাল দেয়া হবে- এ ধরনের নানান প্রশ্নও উঠেছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন,

অর্ধেক বাস চলার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন বাস মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে গত রবিবার সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
অর্ধেক বাস চলানো প্রসঙ্গে যুক্তি কী? তা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে সাজেশন দেয়া হয়েছে। তারা জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি বা পরিবহন সংক্রান্ত মালিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবেন।
অফিস-আদালত খোলার পর বাসের সংখ্যা কম হলে তো চাপ বাড়বে- এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা মেইনলি আন্তঃজেলা বাসের জন্য বলেছে। বাইরে থেকে তো কম লোক আসে। তবে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
তদারকি কীভাবে করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বসে ঠিক করবেন। উনারা একটা পদ্ধতি বের করবেন। বেইজিংয়ে দেখেছি একদিন এক নম্বর আসে, আরেক দিন আরেক নম্বর। সিটি সার্ভিসের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটাও মেট্রোপলিটন পুলিশ, মালিক সমিতি, বিআরটিএ বসে সিদ্ধান্ত দেবে।
এদিকে অর্ধেক বাস চালানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বাস মালিকরা। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, রাস্তায় অর্ধেক গাড়ি চলাচল নির্ণয় করা কঠিন হবে। মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচল করবে। এক্ষেত্রে এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে এবং সারাদেশে কতটি গাড়ি চলছে নির্ণয় করা কঠিন হবে। এছাড়া অর্ধেক গাড়ি বসে থাকলে শ্রমিকরা বেকার থাকবে। অন্যদিকে মালিকরাও ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাছাড়া দীর্ঘদিন পর বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। এই অবস্থায় অর্ধেক গাড়ি চললে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র পরিবহন সংকট দেখা দেবে। যাত্রীর চাপ অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো বলেছেন, এসব দিক বিবেচনা করে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সব গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনেই বর্ধিত ভাড়া না নিয়ে আগের ভাড়ায় গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়