শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : চলতি সপ্তাহেই শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

হোসেনপুরে আউশ ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. জাকির হোসেন, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) থেকে : হোসেনপুরে চলতি বছর আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬০০ টন ধান উৎপাদন হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, আউশ ধানে খরচ কম, লাভ বেশি, সেচ লাগে না, সার কম লাগে, সর্বোপরি উৎপাদনে সময় কম লাগার কারণে কেটে আবার আমন ধান চাষ করা যায়। এরপর বোরো আবাদ করা যায়। এতে উৎপাদনের কোনো ঘাটতি হয় না। এজন্য আগামীতে কৃষক ভাইয়েরা আরো বেশি আউশ ধান চাষ করবেন বলে আশা রাখেন এ কর্মকর্তা। এ ধান জিংকসমৃদ্ধ হওয়ায় খেতে সুস্বাদু।
কথা হয় আউশ ধান আবাদ করা কৃষক গড়বিশুদিয়া গ্রামের আবদুল ওয়াহাব, ইসমাইল খান, মনিরুজ্জামান ও আবদুর রশিদের সঙ্গে। তারা এ বছর উন্নত জাতের বি-৮৫ জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে খুশি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. তারিকুল হাসান জানান, আউশ চাষে আগ্রহ কমে যাওয়ায় সরকার আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ধান, গম, পাট বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় প্রণোদনা, প্রদর্শনী, ডিলারদের মাধ্যমে বীজ বিক্রি ও স্থানীয় কৃষকদের বীজ সংরক্ষণের মাধ্যমে আউশ চাষে আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, কৃষি বিভাগের তৎপরতায় পৌর এলাকার কাইছমা বীজ উৎপাদনকারী কৃষক দল, সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া বীজ উৎপাদনকারী কৃষক দল, পুমদী ইউনিয়নের রামপুর বীজ উৎপাদনকারী কৃষক দল ও জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী বীজ উৎপাদনকারী কৃষক দলসহ এ রকম ৪টি কৃষক দল গঠন করছে। প্রত্যেক দলে ১৫ জন করে কৃষক রয়েছেন।
একেক দলে ১০ হেক্টর করে মোট ৪০ হেক্টর জমি এ প্রণোদনার আওতায় রয়েছে। তাদের উৎপাদিত ভিত্তি বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কৃষি বিভাগ সরবরাহ করছে, যা অন্য কৃষকদের কাছে কম দরে বিক্রি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়