শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : চলতি সপ্তাহেই শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

পাকিস্তানের মিথ্যাচার : ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু কীভাবে সা¤প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তান নামক দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, কীভাবে অসা¤প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছেন- এর হাজারও বয়ান পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর রচনাবলি, ভাষণ, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষকদের রচনায় ও প্রামাণ্যচিত্রে। বাঙালি জাতির পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসের অমোঘ সত্য হচ্ছে- বঙ্গবন্ধু না হলে কখনো বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটত না। গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় শোকের মাসে কিংবা বিজয়ের মাসে পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সুকৌশলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এমন সব মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয় যাতে এটি প্রতীয়মান হয়- বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের জনগণ কখনো পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাননি, একাত্তরে পাকিস্তানি সৈন্যরা কোনো গণহত্যা করেনি, পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের কারণে ভারত একাত্তরে পাকিস্তান ভেঙেছে এবং ভারতীয় সৈন্য ও মুক্তিবাহিনী নির্বিচারে নিরীহ পাকিস্তানিদের হত্যা করেছে। এ বছর আগস্ট মাসেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কখনো পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। তার ৭ মার্চের অবিস্মরণীয় ভাষণসহ বেতার ও টেলিভিশনের কিছু ভাষণের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে এতে দেখানো হয়েছে- পশ্চিম পাকিস্তানকে তিনি ‘ভাই’ বলছেন, ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছেন কিংবা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলছেন। এতে আরো বলা হয়েছে- একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শোচনীয় আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংবাদে বঙ্গবন্ধু নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানিদের বলেছিলেন, তিনি রেডিও টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে বাঙালিদের উদ্দেশে পাকিস্তানের অখণ্ডতার কথা বলবেন। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমের এহেন মিথ্যাচার ও ধৃষ্টাচারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান তারা। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের এ ধরনের ধারাবাহিক মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক অনুপম সেন, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অব.), অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়