শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : চলতি সপ্তাহেই শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

পরীমনির প্রথম স্বামী সৌরভ : এখনো আমাদের তালাক হয়নি

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে : ঢাকা সিনেমার আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা পরীমনি গত বুধবার আটকের পর মুখ খুলেছেন তার ‘প্রথম স্বামী’ যশোরের কেশবপুরের ফেরদৌস কবীর সৌরভ।
তার ধারণা ছিল- উশৃঙ্খল জীবনযাপন একদিন পরীমনির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। তাকে ছেড়ে পরীমনি পরে একাধিক বিয়ে করলেও এখনো তাদের

মধ্যে তালাক হয়নি বলেও তিনি জানান। সৌরভ জানান, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
জানা যায়, সৌরভ এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ঢাকার একটি ক্লাবে ফুটবল খেলার জন্য ডাক পান। তখন তিনি স্ত্রী শামসুন্নাহার স্মৃতিকে নিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান। ঢাকার বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে মিরপুরের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করান। সেখানে থাকাকালে মিডিয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় স্মৃতির। পরিচয়ের পর স্মৃতির বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে তাকে মডেল ও নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি। এরপর ওই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শামসুন্নাহার স্মৃতির নাম পাল্টে পরীমনি রাখেন।
সৌরভ জানান, পত্রিকায় ছবি ছাপা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে পরীমনি উশৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করলে সৌরভের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। একদিন ওই মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে পরীমনি বিয়ে করেছেন বলে জানতে পারেন সৌরভ। এরপর ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে যান সৌরভ। ফুটবল ছেড়ে হাতে তুলে নেন গিটার। এক সময় তিনি পরিচিতি পান শিল্পী সৌরভ কবীর হিসেবে। তার বন্ধুরা তাকে টেনে নেন আওয়ামী রাজনীতিতে। পৌরসভার ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
সৌরভ আরো জানান, তার বাবা জাহাঙ্গীর কবির পুলিশে চাকরি করতেন। মা ফাতেমা বেগম গৃহিণী ও সমাজকর্মী। বর্তমানে তারা কেশবপুরে স্থায়ী হলেও বাবার পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভগিরাথপুর গ্রামে। ওই গ্রামেই নানা শামসুদ্দিন গাজীর বাড়িতে থাকতেন স্মৃতি ওরফে পরীমনি। ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর সৌরভ ওই গ্রামে দাদা হাফিজ উদ্দিনের বাড়ি বেড়াতে গেলে সেখানেই পরিচয় হয় স্মৃতির সঙ্গে। বেশ কিছুদিন সেখানে থাকার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সৌরভ জানান, স্মৃতি তখন স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সৌরভ খুলনার দৌলতপুর একটি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়ে ফুটবল অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাঝে মাঝে খুলনা থেকে পিরোজপুর দাদা বাড়িতে গিয়ে স্মৃতির সঙ্গে দেখা করতেন। ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর স্মৃতি তার নানি পরীবানুকে নিয়ে একদিন দৌলতপুরে সৌরভের সঙ্গে দেখা করতে আসে। ২ বছর সম্পর্কের পর ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে স্মৃতি কেশবপুরে সৌরভের বাড়িতে চলে আসে।
কেশবপুর শহরের অফিস পাড়ার পাবলিক ময়দান সংলগ্ন ফাতেমা মঞ্জিলে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল পৌরসভার কাজী এম ইমরান হোসেন এক লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করেন। বিয়ের নিকাহনামায় পরীমনি সই করেন শামসুন্নাহার স্মৃতি নামে। ৬ নম্বর ক্রমিকে জন্ম তারিখ ১৫/১২/১৯৯২ লেখা হয়। তবে ৪ নম্বর ক্রমিকে তার স্থায়ী ঠিকানায় পিতা মৃত মনিরুল ইসলাম, মাতার নাম মৃত সালমা সুলতানা, গ্রাম-বাকা, পোস্ট ও উপজেলা-কালিয়া ও জেলা নড়াইল উল্লেখ রয়েছে।
পরীমনির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, মূলত ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে স্মৃতির সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। ফলে ২০১৫ সালে সৌরভ কেশবপুরে ফিরে যান। সর্বশেষ ২০১৬ সালে পরীমনির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় তার। তবে তারা কেউ কাউকে এখনো তালাক দেননি। উশৃঙ্খল জীবনযাপনই পরীমনির আজকের এ পরিণতি ডেকে এনেছে বলে জানান তার স্বামী সৌরভ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়