শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : চলতি সপ্তাহেই শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

টিকা প্রদান শৃঙ্খলায় হোক

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গণটিকা প্রদানের শুরুতে নানা ধরনের অভিযোগ গণমাধ্যমে আসছে। কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা, গণচাপসহ সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি একেভারেই উপেক্ষিত হচ্ছে। ছয় দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ২ দিনে ৫০ লাখের বেশি মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম। ছয় দিনব্যাপী গণটিকার কার্যক্রম চলবে। ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের এই কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বর্তমানে যেভাবে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে তাতে করে দ্রুততম সময়ে সাধারণ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে সঠিক পদক্ষেপ। শুরুতে টিকা নিয়ে সমাজে নানা ধরনের অপপ্রচার এবং ভীতি তৈরি হলেও সে অবস্থা এখন নেই। এখন টিকা নেয়ার বিষয়ে সবার মাঝেই আগ্রহ লক্ষণীয়। টিকা কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক ভিড়ই বলে দিচ্ছে সবাই এখন টিকা নিতে আগ্রহী। রোডম্যাপী অনুযায়ী, সারাদেশে চার হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৫ হাজারের বেশি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি চলবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে দিনে ৬০০ ডোজ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে দিনে ৪০০ থেকে ৬০০ ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। এ কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে টিকা কেন্দ্রগুলো মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। গণটিকা দেয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় করোনার উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, এ ধরনের কার্যক্রম শুরুর আগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সি সবাইকে টিকা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একেকটি ওয়ার্ডে কয়েক হাজার মানুষ বাস করে। তবে সেখানে ৩০০ টিকা বিতরণ করা হলে ভিড় বাড়বেই। সর্বশেষ হিসাবে দেশে টিকা এসেছে আড়াই কোটির কিছু বেশি ডোজ; সবাইকে দুই ডোজ দেয়ার হিসাবে, যা মোট টিকার ১৫ শতাংশও নয়। ফলে টিকার সরবরাহ নিশ্চিতে নিজস্ব উৎপাদনের বিষয়টিও পরিকল্পনায় রাখা জরুরি। দেশে চলমান করোনার টিকা কার্যক্রমে বিশেষ গতি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসার পাশাপাশি টিকা প্রদান করতে গিয়ে এক ধরনের অব্যবস্থাপনা আমরা দেখেছি। সরকার যেভাবে দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করেছে তা প্রদানের বিষয়টিও সেভাবে দ্রুতায়িত করতে হবে। সব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে সহজে টিকা পায় এবং গ্রহণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। টিকার আওতায় সবাইকে না আনতে পারলে সংক্রমণ কমিয়ে আনা অনেক কঠিন ব্যাপার। পাশাপাশি টিকা প্রদানে শৃঙ্খলার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়