কাগজ প্রতিবেদক : রোসাটমের টেকনিক্যাল একাডেমি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে মন্ত্রণালয়, আণবিক শক্তি কমিশন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছিলেন। রাশিয়ান ফেডারেশন পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তারা রোসাটমের টেকনিক্যাল একাডেমি পরিদর্শন করেন। এ সময় রাশিয়ার পক্ষে রাষ্ট্রীয় আনবিক শক্তি করপোরেশন ও রোসাটম সার্ভিস জেএসসি এবং টেকনিক্যাল একাডেমির ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল শনিবার রোসাটমের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি অনুযায়ী এই কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় জানানো হয়, রাশিয়াতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ১৫০০ এর বেশি পিসিআর টেস্ট করা হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইন্টার্নশিপের সময় তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণের সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, রাশিয়ার পরিকল্পনায় বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আমাদের জন্যে বিশেষ গর্বের বিষয়। পারমাণবিক প্রযুক্তি নতুন প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল একাডেমির অনেক প্রশিক্ষক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তাদের কর্মজীবন শুরু করেছে এবং তারা প্রযুক্তিটি সম্পর্কে সম্মক ধারণা রাখে। তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় এই ধরনের জটিল প্রযুক্তি আয়ত্বে আনার জন্য সহায়ক।
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এবং এএসই জেএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট এলেক্সি ডেইরী বলেন, বর্তমানে প্রশিক্ষণার্থীদের রাশিয়া পাঠানোর প্রক্রিয়া পুনরায় চালু হয়েছে। এতে করে এখন তাদের প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ সময়ে রাশিয়াতে অবস্থান করার ভিসা প্রদান করা হবে। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কার্যতালিকা অনুযায়ী আমাদের ট্রেনিংয়ের গ্রুপ পাঠাতে হচ্ছে। আমরা এখন সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। এই মুহূর্তে ইপিসি চুক্তি অনুসারে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্যে একটি উন্নত সময়সূচি করা গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তি, ভিভিইআর ১২০০ পাওয়ার ইউনিট এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রদর্শনের জন্য একটি ভিজুয়াল প্রোটোটাইপিং থ্রিডি প্রদর্শনীর কমপ্লেক্সের সঙ্গে পরিচিত হন।