পরীমনরি ঘনষ্ঠি কে এই কবীর

আগের সংবাদ

তালিকায় হাইপ্রোফাইলদের নাম

পরের সংবাদ

ময়মনসিংহে পাউবোর শহর রক্ষা বাঁধে ধস

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রুহুল আমীন খান, ময়মনসিংহ থেকে : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ ডিভিশনের আওতাধীন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার সম্মুখভাগে ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী বেশকিছু জায়গা ধসে পড়ে মারাত্মক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ থেকে ঘুন্টি পর্যন্ত ময়মনসিংহ শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় জায়গাতেই এমন কিছু ভাঙন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায় ১৯৯৬-২০১২ অর্থবছরের শেষদিকে ময়মনসিংহ শহর রক্ষা বাঁধের কাজটি শেষ হয়। তৎকালীন কাজটি শেষ করেন রহমান এন্টারপ্রাইজের রহমান ঠিকাদার নামের এক ব্যক্তি। তারপর বাঁধটির উপকারিতা যথানিয়মে চললেও ২০১৫ সালের পর থেকে নদে পানি না থাকলেও বৃষ্টি ও অতিবর্ষণে শহর রক্ষা বাঁধের কিছু কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিলে তা নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু এসব নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ কাজে শিডিউলবহির্ভূত নিম্নমানের কাজ সম্পাদন হয়। ফলে প্রতি অর্থবছরে একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন অংশে সামান্য বৃষ্টিতেই পুনরায় ভেঙে যায়। এভাবে বারবার মেরামত কাজে বিপুল ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে সুশীল সমাজে প্রশ্ন উঠেছে। একই ধারাবাহিকতায় গত বছর সার্কিট হাউসের সামনে ভাঙনের মেরামত কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ময়মনসিংহ শহর রক্ষা বাঁধের জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার সম্মুখভাগের বেশকিছু অংশ সামান্য বৃষ্টির কারণে ধসে বড় বড় ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় জয়নুল আবেদীন পার্কে বেড়াতে আসা অনেক দর্শনার্থী এ ভাঙন কবলে পড়ে প্রায় প্রতি দিন আহত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর নামে এক এনজিও কর্মী ওই ভাঙনের কবলে পড়ে এখন শয্যাশায়ী।
এলাকাবাসী জানান, বিগত সময় ও বর্তমানের অনিয়মের কারণে শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুনর্নির্মাণ ও মেরামত কাজে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের দায়িত্ব পালনে দুর্নীতি ও চরম গাফিলতিতে আবারো ভেঙে পড়ার মূল কারণ। অপর আর এক অভিযোগে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে ময়মনসিংহ শহর রক্ষা বাঁধসহ নদী দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু অসৎ ব্যক্তি। যার ফলে নদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা জানান, শহর রক্ষা বাঁধ ভাঙন প্রতি বছরই হচ্ছে। একদিকে ভাঙলে আরেক দিকে মেরামত করা হয়। যখন যেখানে ভাঙে সেখানে

পুনরায় মেরামত করা হয়। জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার সম্মুখভাগে ভাঙন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে স্থানে ভাঙন আছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। অনুমোদন এলে সে অনুযায়ী আবারো মেরামত কাজ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়