পরীমনরি ঘনষ্ঠি কে এই কবীর

আগের সংবাদ

তালিকায় হাইপ্রোফাইলদের নাম

পরের সংবাদ

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : রোগীরা খাচ্ছেন পচা ও নিম্নমানের খাবার

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পচা-বাসি ও নিম্নমানের খাবার বিতরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ভর্তি হওয়া রোগীদের খাবার নিয়ে জটিলতা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থিত। উপজেলায় একটি প্রথম শ্রেণি পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র এটি। এ উপজেলা থেকে বরিশাল বিভাগীয় সদরের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার এবং বরগুনা ৩৭ কিলোমিটার। গ্রামের গরিব রোগীদের এত দূরে গিয়ে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নেয়া সম্ভব নয়। এসব হতদরিদ্র, নিম্ন ও মধ্য আয়ের ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবার নির্ভরশীল হতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত রোগীদের জনপ্রতি রোগীকে একটি সিদ্ধ ডিম, একটি বেকারির রুটি ও সবজি দিতে দেখা গেছে। ডিমগুলো ফার্মের এবং নিম্নমানের। অধিকাংশ ডিম নষ্ট ও পচে গেছে। অথচ রোগীদের এসব পচা ডিম পরিবেশন করা হচ্ছে। দুপুরে এবং রাতে রোগীদের খাবারে উন্নতমানের মাছ, দেশি মুরগি, সবজি ও ডাল বরাদ্দ থাকলে সেখানে দেয়া হচ্ছে নামমাত্র ফার্মের মুরগির মাংস। মাছ ও সবজি মান নিম্নমানের। এছাড়া দুপুরে বা রাতে রোগীদের খাবারের পর যেসব উদ্বৃত্ত থাকে সেই খাবারের সঙ্গে নতুন খাবার মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
ভর্তিকৃত একাধিক রোগী জানান, পচা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার নতুন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
খাবারের মান নিম্ন থাকায় ভর্তিকৃত দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর স্বজনদের হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে নিতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছাকাছি ভালো কোনো হোটেল নেই। রোগীদের স্বজনরা আধা কিলোমিটার দূরে বাজার থেকে খাবার কিনে আনছেন। গুরুতর অসুস্থ থাকায় কাছাকাছি থাকতে হচ্ছে তাদের। এক্ষেত্রে রোগীসহ স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগী জানান, তাদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। তাই তাদের বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। রোগী নিভা রানী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার খেয়ে আমি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং বলেন, রোগীদের খাবার পরিবেশনের জন্য প্রতি বছর আলাদা দরপত্র হয় এবং ঠিকাদারের অধীনে খাবার পরিবেশন করা হয়। তবে চেষ্টা করছি যাতে ভালো খাবার পরিবেশ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতার প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়