বদরুল আলম দুলাল, সিরাজগঞ্জ থেকে : জেলার চৌহালী উপজেলায় অনিয়ম করে টাকার বিনিময়ে গ্রাম পুলিশ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। পোষ্য কোটা না মেনে টাকার বিনিময়ে এসব নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে বঞ্চিতরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান বঞ্চিতরা।
পোষ্য কোটার আবেদনকারীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়নে দক্ষিণ তেঘরি গ্রামের আ. ছালাম গ্রাম পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় মারা যান। এরপর পোষ্য কোটায় নিয়োগ দেবার কথা বলে মৃত ছালামের ছেলে আ. মজিদকে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন ঘোরজান ইউপি চেয়ারম্যান মো. রমজান আলী। একপর্যায়ে চাকরি স্থায়ীকরণের কথা বলে নগদ দেড় লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে পোষ্য কোটায় আ. মজিদ ও তার স্ত্রীকেও আবেদন করতে বলেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু গত ২৩ জুন পরীক্ষা শেষে তাদের কাউকে নিয়োগ না দিয়ে নাসির উদ্দিন নামের অন্য আরেক জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রায় তিন লাখ টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পোষ্য কোটা না মেনে গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ মজিদের। গ্রাম পুলিশ পদে পোষ্য কোটার আবেদনকারী আ. মজিদ বলেন, আমি এই নিয়োগ বাতিল চাই। এ বিষয়ে ঘোরজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রমজান আলী বলেন, নিয়োগ কমিটি কী করেছে আমি জানি না। নিয়োগে আমার কোনো কর্তৃত্ব নেই। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।