জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

সমুদ্রে ইলিশ মেলা যেন সোনার হরিণ

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ৬৫ দিনের অবরোধের পর সমুদ্রে বড় আকারের ইলিশ ধরার স্বপ্ন নিয়ে জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে গেলেও জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। স্বপ্ন ছিল জেলেদের ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে জালে। কিন্তু বিধিবাম! কারো জালেই ইলিশের দেখা মিলছে না। কিছু ছোট আকারের ইলিশ ধরা পড়লেও বড় ইলিশ যেন সোনার হরিণ। অবরোধের পরপরই এক সপ্তাহ বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রে যেতে পারেননি জেলেরা। আবহাওয়া অনুকূলে এলে শত শত জেলে ট্রলার সমুদ্রে গেলেও কারো জালেই ইলিশ ধরা পড়ছে না। ছোট আকারের যে ইলিশ ধরা পড়ছে তাতে বাজার খরচ ওঠেনি কারো। তারপরও লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ফের সমুদ্রে যাচ্ছে মাছশূন্য ফিরে আসা ট্রলারগুলো।
ইলিশের ভরা মৌসুমে বুকভরা আশা নিয়ে সমুদ্রে যান জেলেরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা পায়নি কোনো ট্রলার। সাগর চষে বেড়িয়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে শূন্য হাতে। জেলেদের প্রশ্ন- ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে সমুদ্রে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে। চলতি বছর এসব ইলিশ কোথায় গেল?
পৌনে দুই লাখ টাকার বাজার নিয়ে সাত দিন সমুদ্রে ইঞ্জিনের ত্রæটি নিয়ে ঘাটে ফিরছে এফবি জিহাদ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। ১৬ কেজি ইলিশ, চারটি গোলপাতাসহ সামান্য কিছু টোনাফিস নিয়ে ঘাটে ফিরে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন। গত বুধবার দুপুরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়ত পল্লীতে কথা হয় ট্রলারের মাঝি আ. জলিলের সঙ্গে। চোখেমুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে বড় আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। ট্রলারের ১৮ জন জেলের পরিবার কীভাবে চলবে? মাথায় হাত দিয়ে চিন্তা করতে দেখা গেছে জেলেদের।
জানা গেছে, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেনি। এরপর ২৭-২৮ জুলাই মাছধরা ট্রলারগুলো সমুদ্রে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলারই ইলিশের সন্ধান পায়নি।
গত রবিবার রাতে দেড় লাখ টাকার বাজার নিয়ে পাথরঘাটা ঘাট থেকে সমুদ্রে যায় এফবি তাওহীদ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। দুই দিন সমুদ্র চষে ইঞ্চিনের নাট ভেঙে আলীপুর ঘাটে এসে ৫৫ হাজার টাকার ছোট আকারের ইলিশ বিক্রয় করেছেন।
আলীপুর ঘাটে কথা হয় ‘এফবি তাওহীদ’ নামে মাছ ধরার ট্রলার মিস্ত্রি ছগির হোসেন গাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেড় লাখ টাকার বাজার নিয়ে গেলাম সমুদ্রে। মাছ বিক্রি করলাম ৫৫ হাজার টাকা। এই ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে আবার সমুদ্রে যাব।
ট্রলার মালিক মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, আমার একটি ট্রলার সমুদ্রে আছে। গত সাত দিনে ১০টি ইলিশ পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ট্রলার বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
মৎস্য ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আড়তদাররা তাদের স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ব্যবসা ঠিক রাখছেন। এখন মাছ না পেলে এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়