জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

ফুলবাড়ীয় ভুয়া নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. হারুন-উর রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের পৌর শহরের মধ্যগৌরপাড়া থেকে আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকা নামে এক ভুয়া নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর পিবিআই।
রংপুর পিবিআই প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট আনজু মিয়া (৫১) সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টরের (কারা) বাসা থেকে মোটরসাইকেলযোগে শহরে এসে আর বাড়ি না ফিরলে পরদিন তার সন্তান ও স্ত্রী পিবিআইসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটে নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করে সাধারণ ডায়েরি করেন। গত মঙ্গলবার পিবিআইয়ের একটি দল ভিকটিম আনজু মিয়াকে রংপুর শহরের ‘সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ থেকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের জবানবন্দি থেকে পিবিআই চাঞ্চল্যকর তথ্য সংগ্রহ করে।
ভিকটিম সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর (কারা) আনজু মিয়া জানান, গত ৬-৭ মাস আগে জনৈক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকার সঙ্গে বিমানে ভ্রমণকালে পরিচয় ও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয়। ২ আগস্ট সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকা তাকে ফোন করে রংপুর শহরের জেলা স্কুল গেটে ডেকে পাঠান।
সার্জেন্ট আনজু মিয়া তার কথামতো শহরের জেলা স্কুল গেটে পৌঁছলে জনৈক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে বসে থাকতে দেখেন। সার্জেন্ট আনজু মিয়া তাকে স্যালুট করে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে ২-৩ জন অপরিচিত লোক আকস্মিক তাকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী ‘সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ নিয়ে যায়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা, একটি হাতঘড়ি, একটি স্বর্ণের আংটি ও ড্রাইভিং লাইন্সেস নিয়ে নেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় সার্জেন্ট আনজু মিয়া হতবিহ্বল হয়ে ওই ব্যক্তিদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আপনাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকার অনুরোধে আপনার মাদকাসক্তের চিকিৎসার স্বার্থে নিরাময় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
সার্জেন্ট আনজু মিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের পর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে নিরাময় কেন্দ্র থেকে ভিকটিমের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। ভিকটিম সার্জেন্ট আনজু মিয়াকে মঙ্গলবার পিবিআই রংপুর কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করা হলে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু হয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পিবিআই, রংপুরের একটি চৌকস দল দ্রুত সময়ের মধ্যে নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার অনামিকাকে গ্রেপ্তার করে।
পিবিআই, রংপুরের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এসব অপরাধ করে থাকে। কথিত নারী ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা সরকার ও অন্য সদস্যরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে প্রতারণা করে মানুষকে ঠকিয়ে থাকে। এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়