জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

তীব্র খরায় ফসলের জমি ফেটে চৌচির

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আফতাবুজ্জামান তাজ, হাকিমপুর (দিনাজপুর) থেকে : শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। এবার খরার তীব্রতায় রোপা আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে রোপা আমন ধানের চারাগুলো। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে রোপা আমন ধানের জমিতে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের হাতিশোঁও গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা জানান, পানির ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি না থাকায় জমি ফেটে যাচ্ছে। অথচ আর্থিক সংকটে তিনি জমিতে সেচ দিতে পারেননি। পানির অভাবে ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উঁচু জমিগুলোতে পানি নেই। এমনকি পানির অভাবে কিছু জমিতে এখনো রোপণ করা সম্ভব হয়নি।
হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের লোহাচড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে আমন ধান চাষ করা হয়। এ মৌসুমে বৃষ্টির পানি থাকায় ধান চাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি নেই। ফলে আমন ধানের ক্ষেত ফেটে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের কৃষক আশরাফুজ্জামান জানান, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। শ্যালো মেশিন কিংবা বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে রোপা আমন আবাদ উপযোগী নয়। কারণ তার বেশ কিছু জমি মাঠের মাঝখানে। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়। কিন্তু পানির অভাবে অনেকে জমিতে আমন ধান লাগাতে পারছে না।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোছা. মমতাজ সুলতানা জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ১২৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। তবে পানির অভাবে অধিকাংশ ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হয়েছে। প্রচণ্ড তাপদাহে ধান গাছ বিবর্ণ হচ্ছে। কোথাও কোথাও কৃষক শ্যালো মেশিন বা বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে রোপা আমন ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, পানির অভাবে অনেকেই জমিতে ধানের চারাগুলো রোপণ করতে পারছেন না। আমরা কৃষি অফিস থেকে দুয়েক দিনের মধ্যেই সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়