ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৩৫ : ১৮ হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা কোনোক্রমেই ২শর নিচে নামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায়ও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরো ১৫ হাজার ৭৭৬ জন নতুন রোগী। ফলে সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। আইসিইউ বেড তো দূরের কথা সাধারণ বেডও মিলছে না। অনেক হাসপাতালে ভর্তি আছে অতিরিক্ত রোগী। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া ১৮টি হাসপাতালেই নির্ধারিত বেডের অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছে।
হাসপাতালগুলো হলো- কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ল্যাব এইড হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল, ফেনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরগুনা জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল।
এই প্রেক্ষাপটে গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ৯০ শতাংশ সিটে রোগী আছে। আইসিইউ ৯৯ শতাংশ ভরে গেছে। করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না, তাদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেয়া কথা চিন্তা করছে সরকার। কারণ, হাসপাতালে জায়গা নেই। তিনি বলেন, আমরা এখন হোটেল খুঁজছি, যেখানে একটা ব্যবস্থা করতে পারি। যারা মৃদু আক্রান্ত হয়েছে, তাদের রাখতে পারি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কাজটি করবে। যেসব রোগীর হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না, তাদের জন্য আমরা আলাদা হোটেল ভাড়া করার চিন্তা করেছি। যে হোটেলে ডাক্তার, নার্স এবং ওষুধপত্র থাকবে। কিছু অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আমরা রাখব। তারা সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে গেলে বাড়ি চলে যেতে পারবেন। সেই ব্যবস্থাটুকু আমরা হাতে নিয়েছি।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি পরীক্ষাগারে ৫৫ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে ১৫ হাজার ৭৭৬ জনের শরীরে। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৭ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯টি। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫ জন। আর মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৪১৯ জন আর নারী ৬ হাজার ৯৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪০ জন ও নারী ৯৫ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন ও বাড়িতে ১৫ জন মারা যান। এছাড়া একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বয়স বিবেচনায় দশোর্ধ্ব ১ জন, বিশোর্ধ্ব ৪ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৮০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪১ জন, আশি-ঊর্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সি ৪ জন। বিভাগ বিবেচনায় ঢাকা বিভাগে ৭৩ জন, চট্টগ্রামে ৬৫ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৩২ জন, বরিশালে ৮ জন, সিলেটে ১২ জন, রংপুরে ১২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়