ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

লকডাউনের প্রতিঘাত : অর্থবছরের প্রথম মাসেই রপ্তানি আয়ে হোঁচট

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের বিস্তারে গত জুলাইয়ে মহামারির সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় বাংলাদেশকে। মাসের ৩১ দিনের মধ্যে ২৪ দিনই ছিল লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাসে ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে পণ্য রপ্তানি শুরু হয়নি। জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৪৭ কোটি ৩৪ লাখ (৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। লকডাউনে কারখানা বন্ধের প্রভাবে দেশের তৈরি পোশাক খাতও প্রবৃদ্ধি থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিয়েতনাম। আর চীনের আছে সবার উপরে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ এর আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায় নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৪৭ কোটি ৩৪ লাখ (৩.৪৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করে বাংলাদেশ। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের বছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৯১ কোটি ৯ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি কমেছে ১১ দশমিক ১৯  শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। রপ্তানিকারকরা বলছেন, করোনা মহামারিতে লকডাউন ও ঈদুল আজহার কারণে টানা ১২ দিন বন্ধ ছিল রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা। সে কারণেই রপ্তানি আয় কমে গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন,  জুলাইয়ে ১৮ তারিখ পর্যন্ত আমাদের রপ্তানি আয় খুবই ভালো ছিল। তারপরে কুরবানি ঈদ ও কঠোর বিধিনিষেধে গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে হয়েছে। রপ্তানি কমার একমাত্র কারণ গার্মেন্টস বন্ধ থাকা। তিনি বলেন, বরং আমাদের হাতে এখন প্রচুর অর্ডার আছে। আমরা অনেক অর্ডার পেয়েছি, কিন্তু কাজ করতে পারিনি। এবার গার্মেন্টস বন্ধ না থাকলে আমরা ২০১৯ সালের জুলাইয়ের চেয়ে বেশি রপ্তানি করতে পারতাম। একই মন্তব্য করেছেন নিটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মো. হাতেম। তিনি বলেন, এবার জুলাইয়ে ১২ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। ১৯ দিনে ২৮৮ কোটি ডলারের যে আয় হয়েছে, তা খুবই ভালো।
করোনা মহামারির মধ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের উৎস চামড়া খাতে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১১৩ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরো কমে ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের এ খাত থেকে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার। করোনা ভাইরাসের কারণে ধস নেমেছে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি আয়ে। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩ কোটি ডলার আয় করেছে। রপ্তানির এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। এ খাতের লক্ষ্য ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়