ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার : হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই সহযোগী আটক

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও আটক হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম সহযোগীদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন- হাজেরা খাতুন ও সানাউল্ল্যাহ নূরী। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ ও ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সম্মান হানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।
কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হাজেরা খাতুন ২০০৯ সালে কুমিল্লার একটি কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন মিরপুরে একটি গার্মেন্টেসের অ্যাডমিন (এইচআর) পদে চাকরি শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন’-এর ডিজিএম হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০১৮ সালে জয়যাত্রা টিভির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করেন তিনি। হাজেরা মূলত ২টি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ হেলেনার আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন।
আর সানাউল্ল্যাহ নূরী জয়যাত্রা টিভির প্রতিনিধি সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীরের নির্দেশনায় প্রতিনিধিদের সমন্বয় করতেন। প্রতিনিধিদের কেউ মাসিক টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বা গড়িমসি করলে তিনি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন। এলাকাতেও তার নামে চাঁদাবাজি অভিযোগ রয়েছে।
তিনি গাজীপুর গার্মেন্ট সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে তার একটি অংশও জয়যাত্রা টিভিকে দিতেন বলে জানান। এছাড়া তিনি গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টিভির সম্প্রচার নিশ্চিত করতেন।
র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুমতি না নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীরের জয়যাত্রা টিভি ২০১৮ সাল থেকে হংকংয়ের একটি ডাউনলিংক চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার হয়ে আসছিল। যার ফ্রিকোয়েন্সি হংকং থেকে বরাদ্দ করা হয়। ফ্রিকোয়েন্সির জন্য হংকংকে মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। হংকং থেকে বরাদ্দ ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই।
আর জয়যাত্রা টেলিভিশনে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিতে ৩০-৫০ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে ১০-২০ হাজার টাকা এককালীন দিতে হতো। এছাড়া প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২-৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। জয়যাত্রা টিভি বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি জেলা ও বিশ্বের প্রায় ৩৪টি দেশে সম্প্রচারিত হতো। যেখানে দেশের গুরুত্ব বিবেচনায় এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রতিনিধিরা নিয়োগ পেতেন।
জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সম্পর্কে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ফাউন্ডেশনে ডোনার, জেনারেল মেম্বর, লাইফ টাইম মেম্বর ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে অর্থ সংগ্রহ করা হতো। এই সংগঠনের প্রায় ২০০ জন সদস্য রয়েছে। যাদের কাছ থেকে সদস্য পদ বাবদ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সামান্যই মানবিক কাজে ব্যবহার করে জয়যাত্রা টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হতো। অবশিষ্ট অর্থ তার সন্তানদের নামে সঞ্চয় করা হতো বলে হাজেরা জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়