ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলব : হাফিজুর রহমান লিটন মেয়র, নকলা পৌরসভা

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে : শেরপুরের নকলা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন বলেছেন, নকলা পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রথমবার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণি পৌরসভায় উন্নীত করেছি। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছি। জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আর ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছি। তিনি বলেন, এ জয় আমার নয়। এ জয় শেখ হাসিনার জয়।
২০০১ সালের ২১ মার্চ নকলা পৌরসভাটি যাত্রা শুরু করে। ১ হাজার ৬৪২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ৩৬ হাজার ৫১৮। পুরুষ ১৮ হাজার ৭৩১ ও নারী ১৭ হাজার ৮৮৭ জন। ভোটার প্রায় ২১ হাজার। এ পৌরসভায় লোকসংখ্যার আনুপাতিক হারে ৩০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। করোনাকালীন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা। এ পৌরসভার আওতায় হাটবাজার রয়েছে ১০টি, কলেজ রয়েছে ৩টি, উচ্চ বিদ্যালয় ৭টি, মাদ্রাসা ৫টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১টি, রাস্তা ৩ হাজার ৪০ কিলোমিটার। কাঁচা রাস্তা ১৬ কিলোমিটার। আগে ২ জন পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে পারেননি।
হাফিজুর রহমান লিটন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর জনগণ নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছেন। মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের উপরই নির্ভর করে পৌরসভার নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের সব দিক। এখানে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা শতভাগ চালু থাকলেও বিধবা ভাতাভোগীদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে

পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যবহৃত হয় হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থ। আগে কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে চাইতেন না। বর্তমানে নিজেরাই এসে হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে যাচ্ছেন। নাগরিক সুবিধা বাড়াতে এ পৌরসভায় টিআরের অর্থে পৌর শহরের রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। বসানো হয়েছে রাস্তায় সড়কবাতি। পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ড্রেনেজ ব্যবস্থার, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে ও কিছু রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ব্রিজ-কালভার্টের নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। তবে এসব অসম্পূর্ণ কাজগুলো দ্রুত সম্পূর্ণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন। তিনি নকলা পৌরসভার দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড বরাদ্দের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দরদ বেশি। তাই তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু তা অনেক সময় হতদরিদ্ররা পান না। যারা পান তারা বাজারে বিক্রি করে দেন। তাই ভিজিএফের চাল দিয়ে আমার নকলা পৌরবাসীকে ভিক্ষুকে পরিণত করতে চাই না। আমরা স্বল্প মূল্যে টাকা দিয়ে চাল কিনে খেতে চাই।
এ পৌরসভায় বাল্যবিয়ে বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে বাল্যবিয়ে নেই বললেই চলে। তবে এ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে মাদকের বিস্তার রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার। এ পৌরসভায় শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের বিনোদনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ঘটছে না। পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন বলেন, মাদক নির্মূলে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, পৌরসভার যেসব ছোট-খাটো সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও নারী উন্নয়ন বিবেচনা করে পেকুয়া বিল থেকে বাইপাস ব্রিজ পর্যন্ত লেক খনন করে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এতে নকলা পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলব। পৌরসভাটি হয়ে উঠবে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়