শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

১৫ স্পট শনাক্ত করেছে চবি : চট্টগ্রাম শহরজুড়ে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভা

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : করোনার পাশাপাশি নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গুজ¦র। প্রতিনিয়তই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীতে জরিপ চালিয়ে ১৫টি জায়গায় ডেঙ্গু বাহক এডিসের লার্ভা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক। নগরের ৯৯টি এলাকার ৫৭টি স্পট থেকে নমুনা সংগ্রহের পর গবেষণায় ১৫টি স্পটেই শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানান তারা।
গতকাল রবিবার গবেষক দলের আহ্বায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আহ্বানে আমরা মশকনিধনে নগরে প্রয়োগ করা ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করতে গবেষণা চালাই। গবেষণার জন্য গত ৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম নগরের ১০০টি স্পট পরিদর্শন করে ৫১টি স্পটের মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হয়। তাছাড়া পরীক্ষার সুবিধার্থে চবি ও তার পার্শ্ববর্তী ছয়টি স্পটের লার্ভাও সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষাগারে নগরের ৫১ স্পটের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫টি স্পটে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত লার্ভা থেকে দুই-তিন দিনের মধ্যে মশার জন্ম হয়ে যায়। এসব লার্ভায় ইতোমধ্যে মশা তৈরি হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বিস্তারিত প্রতিবেদন চসিকে হস্তান্তর করা হবে। নগরের কোন কোন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে; জানতে চাইলে ড. রবিউল হাসান বলেন, ‘আপাতত আমরা স্থান প্রকাশ করতে চাই না। এটি প্রকাশ করলে ভীতি ছড়াতে পারে। তবে বিস্তারিত প্রতিবেদনে স্থান উল্লেখ থাকবে।’
জানা গেছে, নগরে মশক নিধনে প্রয়োগ করা ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করতে চবি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম। তার আমন্ত্রণে গত ১৪ মার্চ চসিক কার্যালয়ে যান চবি শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন চবির প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল ও কাজী নুর সোহাত। এরপর চসিকের অনুরোধে মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। ২৪ মার্চ গঠিত ওই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ ওমর ফারুক রাসেলকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়