শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি : ময়নাতদন্তের জন্য ১১ দিন পর স্বামীর লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি জলিলের মরদেহ অবশেষে ১১ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আল সোহানের উপস্থিতিতে পৌরসভার সাপটানা কবরস্থান থেকে জলিলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামাল, সদর থানার ওসি শাহা আলম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ) মাহমুদুন্নবীসহ মামলার বাদীর পরিবারের লোকজন। এর আগে মৃত জলিলের তিন দিনের কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে জলিলের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মমিনা বেগমকে তাদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যেতে বলেন। কিন্তু মমিনা বেগম তাদের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রয়োজনে সেখানেই আবার বিয়ে করবে বলে জানায় মমিনা বেগম।
মৃত ছোট ভাই জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমের এমন কথা শোনার পর রশিদের সন্দেহ হয়। এ কারণেই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ গত ২৫ জুলাই তার ছোট ভাই জলিলকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামালের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো ক্লু পাচ্ছিল না পুলিশ। পরে তাদের ফোনকল যাচাই করে গত মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরকীয়ার কারণেই জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে মমিনা বেগম ও প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী। হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে মমিনা বেগম ও প্রেমিক গোলাম রব্বানীকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আল সোহানের উপস্থিতিতে পৌরসভার সাপটানা কবরস্থান থেকে জলিলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন একসঙ্গেই ছিলেন গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল। ওই দিন গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার পর তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভোরের দিকে মমিনা বেগম চিৎকার শুরু করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে জলিলের নাকে-মুখে রক্ত বের হতে দেখেন এবং প্রেমিক গোলাম রব্বানী মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আল সোহান জানান, আদালতের নির্দেশে ১১ দিন পর মৃত জলিলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জলিলের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়