শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

প্রতিশ্রতির এক যুগ পার : বেতাগী শহররক্ষা বাঁধে ধস, আতঙ্কে স্থানীয়রা

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লিপিকা মন্ডল অর্পিতা, বেতাগী (বরগুনা) থেকে : উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী বিষখালী নদীর পাড়ে সংস্কারের অভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) দেয়া পৌর শহররক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছে। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। লঘুচাপের প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও বিষখালী নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধির কারণে ব্লক ধসে বাঁধ এখন নদীতে বিলীন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৫ জুন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপিসহ একাধিকবার মন্ত্রীরা সরজমিন এলাকা পরিদর্শন করেন। ওই সময় তারা শহররক্ষা বাঁধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বস্ত করেন।
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ শওকত হাচানুর রহমান জাতীয় সংসদে পাউবোর শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া বাঁধের ব্লক রক্ষায় ইতোমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একাধিকবার মানববন্ধন এবং ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন। কিন্তু আশ্বাসের মধ্যেই সবকিছু সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি কোনো কিছুই হয়নি। স্থানীয়দের অনেকে অভিযোগ করেন, মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদের সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন সময়ে বাঁধের ব্লক রক্ষার প্রতিশ্রæতি পেয়েছেন বটে, কিন্তু সেই কথায় এখন আর কেউ আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তারা বাস্তবে কাজ দেখতে চান।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালের ২০ মে আইলা, ২০১৩ সালের ১০ মে মহাসেন, ২০১৯ সালের ৪ মে ফণী, ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলে আঘাতের পর ভেঙে যাওয়া শহররক্ষা বাঁধ স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে ২০১১ সালে আরো ব্লক তৈরি করে বাঁশ, বালি ও বস্তার চট রেখে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই ঠিকাদারের খোঁজ মেলেনি।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জোয়ারে লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছপালা বিশেষ করে ফলদ বৃক্ষের পাতাগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। বাসিন্দারা ফসল ফলাতে পারছেন না। বর্ষায় বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের প্রায়ই অভুক্ত কাটাতে হয়। বেতাগী পৌরসভার মেয়র এ বি এম গোলাম কবির বলেন, নানান
জটিলতায় বেতাগী শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি আটকে ছিল। ইতোমধ্যে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহররক্ষা বাঁধের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন হবে। আমরা কাজ শুরু করতে পারব।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রকল্পে বেতাগী শহররক্ষা বাঁধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রকল্প অনুমোদন পেলে বেতাগী শহররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করব। তিনি আরো বলেন, জেলার চারটি ভাঙনকবলিত স্থানকে একটি প্রকল্পের আওতায় এনে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গত জুন মাসে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়