শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

পুঁজি সংকটে চামড়া কেনায় অনাগ্রহী ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রনেন রায়, নাটোর থেকে : বিভিন্ন স্থান থেকে কুরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চকবৈদ্যনাথ চামড়া বাজারে। বর্তমানে চলছে চামড়া লবণজাতকরণ। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। এখান থেকেই ৩ লাখ গরুর চামড়াসহ প্রায় ১৬ লাখ পশুর চামড়া ট্যানারিতে রপ্তানি করা হবে আশা করা হচ্ছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ তারা সঠিক দাম পাচ্ছেন না আর ব্যবসায়ীদের দাবি তারা সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই চামড়া কিনছেন।
এদিকে ট্যানারি মালিকদের কাছে ৫ বছর ধরে বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া থাকায় পুঁজি সংকটে পড়ে চামড়া কেনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চামড়া বাজার নিয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নিয়মিত মনিটরিং করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার বাজারটি অবস্থিত। নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের দুই ধারে প্রায় দেড় শতাধিক ছোট বড় আড়ত রয়েছে এখানে। দেশের অধিকাংশ এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া আসে নাটোরের আড়তে। পরে তা লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হয় ঢাকায় ট্যানারিতে। প্রতি বছর শুধু কুরবানির ঈদের সময়েই দেশের চাহিদার ৩০-৩৫ ভাগ চামড়া ঢাকার ট্যানারিগুলোতে পাঠানো হয় এই নাটোর বাজার থেকে। এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশা ব্যবসায়ীদের।
ইউসুফ আলী, ইসাহাক আলী, মোহম্মদ আযমসহ বিক্রেতারা জানান, প্রতিটি গরুর চামড়া ক্রেতারা ৪৫০ টাকা, খাসি ২০-২৫ টাকা ও বকরি চামড়া ৫ টাকা করে ক্রয় করেছেন। এতে করে তারা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে চামড়া কিনে এনে আড়তে দাম নেই। এর ফলে তাদের পরিবহন খরচটাও লোকসান। বেশিরভাগ আড়তদার বকরির চামড়ার দামই বলছেন না।
ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই তারা চামড়া ক্রয় করছেন। কোনো ধরনের সমস্যা নেই। চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা ও চামড়া রপ্তানিকারক মঞ্জুরুল আলম হিরু জানান, চামড়া নাটোরে আসতে শুরু করেছে। বেচাকেনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা পূর্বের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় অনেক ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়েছেন। টাকা না পেয়ে এ ব্যবসার প্রতি আর আগ্রহ নেই তাদের।
নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ জানান, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে ৫ বছর ধরে ৬৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। ফলে নাটোরের এই বাজারের ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংকটে রয়েছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর ৩ লাখ গরুর চামড়া আর ১০-১২ লাখ খাসির চামড়া সংগ্রহের লাখমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার বাজার মূল্য ৫০০ কোটি টাকার মতো।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, চামড়া যাতে পাচার হতে না পারে এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেয়া লকডাউনের কারণে চামড়া পরিবহন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখছে নাটোর জেলা পুলিশ।
চামড়া বাজার মনিটারিংয়ে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান, সিন্ডিকেট তৈরি করে কেউ যেন কম দামে চামড়া কিনতে না পারে সেজন্য তৎপর রয়েছে জনপ্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার রাখতে সমিতির নেতাদেরসহ পৌর মেয়রকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়