শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

পায়রার ভাঙনে দিশেহারা দুমকির ২ গ্রামের বাসিন্দা

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের আংগারিয়া ও বাহেরচর গ্রামে পায়রা নদীর ভাঙনে এলাকাবাসী সর্বস্ব হারাতে বসেছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় হঠাৎ প্রায় ২-৩ একর জমি নিয়ে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। অনেকের কৃষিজমি, গাছপালা ও বসতঘরের ভিটি-মাটি বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মিলন মিরা, মামুন মিরা, ফয়সাল মিরা, দুলাল হাওলাদার, জলিল সিকদার, ফরিদা, ক্ষিতিষ ঘরামী, হিমান্ত ওঝা, পান্টু পাইক, বিমল রায়, বশির হাওলাদার, শাহআলম হাওলাদার, পরিমল পাইক, জাকির হাওলাদার, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ আরো অনেকে। ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসবাস করছে। হঠাৎ বিলীন হওয়ার সময় জমিতে কৃষি কাজ করতে যাওয়া ১২-১৪ জন লোক নদীতে ঢেউয়ের সঙ্গে পড়ে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় বশির এবং আরাফাত। বিপাকে পড়েছে ২৫-৩০টি বসতবাড়ি প্রায় দীর্ঘদিনের চলমান এই নদী ভাঙন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। ইউনিয়নের আংগারিয়া ও বাহেরচর গ্রামের দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এই নদী ভাঙন শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য মো. শাহীন গাজী। ইতোমধ্যে কয়েক মাস আগে ভাঙন রোধের জন্য এলাকাবাসী মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমনই অবস্থা হয়েছে যে, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। ঘর বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় প্রতি বছর নতুন ঘর তৈরি করতে হয়। অনেকের ভিটে-মাটি না থাকায় অন্যের বাড়ির আঙ্গিনায় ও রাস্তার পাশে ঘর তুলে দিনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রেজা আহম্মেদ বলেন, নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাস্তবায়ন হলে অতিদ্রুত কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়