শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতার সহজ সমাধান!

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গত ১৬ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২০২১ সালের এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত বহু আকাক্সিক্ষত সংবাদ পরিবেশিত হয়। সেখানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার শর্তে পরীক্ষা দুটি যথাক্রমে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা রয়েছে। নৈর্বাচনিক বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট, জেএসসি বা সমমান, এসএসসি বা সমমান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেকর্ডকৃত মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরীক্ষাগুলোর রেজাল্ট দেয়ার কথাও বলা হয়।
এই ঘোষণা শোনার পর অভিভাবক মহল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা যায়। সন্তানের প্রকৃত মঙ্গলকামী বুদ্ধিমান অভিভাবকরা চান সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে যেন তাদের সন্তানদের মেধা মূল্যায়ন করা হয়। শুধু অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়, কারণ বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের সমাধান লিখে তারা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়। এমনকি অন্যের মাধ্যমে তৈরি করা অ্যাসাইনমেন্টও অনেক শিক্ষার্থী জমা দেয়। এতসব বিকল্প সুযোগ উন্মুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা একদমই মেধা খাটায় না। স্ব-প্রতিষ্ঠান তো নয়ই বরং খাতা অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দিয়ে মূল্যায়নেও দেখা দেবে পক্ষপাত, যা কোনো দৈবচয়নের মাধ্যমে কোনোভাবেই সংশোধন সম্ভব নয়। শিক্ষামন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলনের পর ছাত্রছাত্রীদের টেবিলে বসানো খুবই কষ্টসাধ্য। তাদের মন্তব্য- ‘অ্যাসাইনমেন্ট মানেই দেখে দেখে লেখা, তা না হলে অটোপাস, সুতরাং কষ্ট করা কী দরকার’। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এ সমস্যা নিরসনে আমি সবিনয়ে কিছু সুপারিশ পেশ করছি :
১. এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মধ্য থেকে ৪টি করে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে সেখান থেকে ২০ শতাংশ নম্বর নেয়া যেতে পারে।
২. এসএসসি বা সমমানের ক্ষেত্রে জেএসসি বা সমমানের এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল থেকে (১০+১০) বা ২০ শতাংশ নম্বর নেয়া যেতে পারে।
৩. এইচএসসি বা সমমানের ক্ষেত্রে জেএসসি বা সমমান এবং এসএসসি বা সমমান থেকে (১০+১০) বা ২০ শতাংশ নম্বর নেয়া যেতে পারে।
৪. প্রত্যেক বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার আয়োজন করে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ নম্বর সংগ্রহ করা যেতে পারে।
৫. নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নের সেট সংখ্যা করা যেতে পারে ২০টি, যার ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কোনো সুযোগই থাকবে না।
৬. নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হতে পারে সম্পূর্ণ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মধ্য থেকে।
৭. শর্ত হতে পারে যে, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার নম্বরের শতকরা হার অ্যাসাইনমেন্টের নম্বরেও বজায় রেখে চূড়ান্ত রেজাল্ট দেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমার সবিনয়ে নিবেদন, সরাসরি উক্ত পাবলিক পরীক্ষা দুটির আয়োজন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল ও কার্যকর রাখতে ভূমিকা রাখুন।

বিজয় গোলদার
সহকারী শিক্ষক
কুলপদ্বী উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর সদর।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়