কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতার হাতে প্রজ¦লিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে। গতকাল রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনের পাদদেশে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মরণে প্রদীপ প্রজ¦ালন অনুষ্ঠানে’ এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রদীপ প্রজ¦ালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নাট্য অভিনেত্রী তারিন জাহান, সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী, সাংবাদিক লায়ন মুহা. মীযানুর রহমান, সুজন হালদার, মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন টয়েল প্রমুখ।
ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারই নয়, জিয়াউর রহমানসহ যারা সেই হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া। সেটি না হলে আমাদের ইতিহাস অসম্পন্ন হয়ে থাকবে, শত বছর পর নতুন প্রজন্ম সত্য জানতে পারবে না। সে কারণে একটি কমিশন গঠন করে পুরো ঘটনা প্রবাহ জাতির সামনে উন্মোচন করা আজকে আগস্টের প্রথম দিনে আমাদের প্রত্যাশা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির আরো একটি প্রত্যাশা হচ্ছে, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, স্বাধীনতা চায়নি এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া। এর পরপরই সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ন্যাপ ভাসানী দলের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্ত হন ড. হাছান মাহমুদ। মওলানা ভাসানী এবং তার স্নেহের বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন এঁকেছিলেন, সেই স্বপ্নকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে।
ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. সিরাজুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, কনজারভেটিভ পার্টির সভাপতি আনিসুর রহমান, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।