শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

অবৈধভাবে পুকুর খননের প্রভাব : দুর্গাপুরে বৃষ্টির পানির নিচে সবজিক্ষেত

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : দুর্গাপুর কিসমত মাড়িয়া গ্রামে ১৫ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে পানের বরজসহ বেশ কিছু ফসলের জমি নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল খালেক, জিয়ারুল ও আনোয়ার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে পুকুর খননের ফলে এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রকার সুফল পাচ্ছেন না। তারা নিজ উদ্যোগে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালিয়েও রক্ষা করতে পারছেন না তাদের বসতবাড়িসহ ফসলক্ষেত।
জানা গেছে, কিসমত মাড়িয়া গ্রামে পানিপ্রবাহের খাল বন্ধ করে ওই এলাকার জিয়ারুল, আনোয়ার ও রৈপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক গত ৪ মাস আগে কয়েকটি পুকুর খনন করেন। সেই সময় পুকুর খননকালে স্থানীয়রা পানিপ্রবাহের ক্যানেল রাখতে বললেও তারা কোনো প্রকার কর্ণপাত করেননি। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে দেখা দিয়েছে জলবদ্ধতা। গত কয়েক দিনে বৃষ্টিতে ওই গ্রামের প্রায় ১৫টি পরিবারের বসতভিটা ও পায়ে হেঁটে চলাচলের রাস্তায় পানি উঠে গেছে। নষ্ট হয়েছে পান বরজ, শসা, মরিচসহ অনেক সবজিক্ষেত।
ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষি ওহাব আলী বলেন, পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে পুকুর খনন করায় এই গ্রামের প্রায় ১০ জন মানুষের পানের বরজ ও সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তার দুটি পানে বরজ ও মরিচক্ষেতও নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় মধ্যে রয়েছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফারুক ইমামের (সুমন) কাছে বারবার গিয়েও কোনো সমাধান পাননি তিনি।
মাড়িয়া গ্রামের আকরাম আলী বলেন, আমার বয়সে আমি কখনো আমার পানের বরজে পানি উঠতে দেখিনি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমার পানের বরজ ও শসাক্ষেতে পানি ঢুকে গেছে। পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পানের বড় মরে গেছে। এতে তার লাখ টাকার ক্ষতির আশষ্কা করছেন। এর জন্য তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে পুকুর খননকারীদের দায়ী করছেন। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন।
উজ্জ্বল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ির উঠানে পানি উঠেছে। একই অবস্থা হয়েছে তার গ্রামের অন্তত ১৫টি বাড়িতে।
তারা কোথাও গিয়েও সমাধান না পেয়ে অবশেষে বসতবাড়ি ও সবজিক্ষেত রক্ষায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ কাজ করে যাচ্ছেন। এতেও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফারুক ইমাম সুমন বলেন, পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় মূলত জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
আমরা চেষ্টা করছি, জমে থাকা পানি কীভাবে নিষ্কাশন করা যায়। এদিকে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়