শুভ জন্মদিন : প্রেমিক কবি ফারুক মাহমুদ

আগের সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলে পেয়ারা বাজার মন্দা

পরের সংবাদ

সিডনি শনবার্গের ফরিদপুর ও ঢাকা ডেসপাচ ১৯৭১

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নিউইয়র্ক টাইমসের বিশেষ প্রতিনিধি সিডনি এইচ শনবার্গ ৩০ জুন ১৯৭১ যে ডেসপাচটি অবমুক্ত করেছেন, তা অনূদিত হলো। এর শিরোনাম ছিল : এক পাকিস্তানি বলেছেন বাঙালিরা ‘চিকেন হার্টেড’।

ফরিদপুর, পাকিস্তান ২৯ জুন :
ঢাকার ঠিক পশ্চিমের জেলা ফরিদপুরের জেলা মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বালুচ গোত্রভুক্ত খাটো ও মোটাসোটা সামরিক কর্মকর্তা মেজর নাজির বেগ তার ২০ বছর সামরিক চাকরির ৬ বছর কাটিয়েছেন পূর্ব পাকিস্তানে। পূর্বাঞ্চলের বাঙালিদের জন্য তার যে ঘৃণা তা পাকিস্তানিদের সবার জন্য কেবল সহজাত একটি ব্যাপার নয়, তারা গর্বের সঙ্গে তা বলেও থাকেন। পূর্ব পাকিস্তানিদের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন দমাতে এই সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ অভিযান শুরু করে।
মেজর বেগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাঙালিরা ‘চিকেন হার্টেড’ আর তারা কখনো ‘পিঠে ছুরি’ বসিয়ে দেবার সুযোগ হাতছাড়া করে না।

কথা বলতে মেজর উদগ্রীব
সাড়ে ৭ কোটি মানুষের মধ্যে মুসলমান প্রধান এই প্রদেশে, মেজরের মতে ‘হিন্দুরা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ কারণ তারা পূর্ব পাকিস্তানের ‘রক্ত শোষণ’ করছে এবং পাকিস্তানের শত্রæ ভারতে তাদের টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে।
সম্প্রতি সপ্তাহভর পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখার পর এটা স্পষ্ট মনে হয়েছে অন্য সেনা কর্মকর্তারা মেজর বেগের মতো গুছিয়ে কথা বলতে না পারলেও তাদেরও মেজরের মতো একই অভিমত।
মেজরের সঙ্গে সাক্ষাৎকার চলে দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে, আর যে ভবনে সাক্ষাৎকার নেয়া হয় তা ছিল এক সময় জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জেলা সদর দপ্তর- স্বায়ত্তশাসনের জন্য আন্দোলন করা এই দল এখন নিষিদ্ধ। তিনি কথা বলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন, তিনি একজন বিদেশির কাছে তার অভিমতের যথার্থতা বোঝাতে চেষ্টা করছিলেন, এর মধ্যে বারবার তিনি উচ্ছ¡সিত হয়ে উঠছিলেন।
তিনি বললেন, তার বাহিনী যখন ফরিদপুর প্রবেশ করল তাদের কোনো ধরনের প্রতিরোধ মোকাবিলা করতে হয়নি- ‘একটি গুলিও না’। ফরিদপুর শহরের ধ্বংসযজ্ঞ এবং শহরের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এক কথায় বললেন, এসব দুষ্কৃতকারীর কাজ- বাঙালি বিদ্রোহী বোঝাতে পাকিস্তান সরকার দুষ্কৃতকারী শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।
এমন হত্যাকাণ্ড এবং ধ্বংসযজ্ঞ যে সেনাবাহিনী করেছে এটা তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন। শহরের মানুষের কোন ভয়ে ফিসফিস করে একজন বিদেশি দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা বলছেন, মেজর বেগ তা জানাতেও অস্বীকার করেন।

বড়জোর আলপিনের খোঁচা
মেজর বললেন, ‘আমাদের সৈন্যদের যথাযথভাবে বোঝানো হয়েছে এবং তারাও বুঝতে পেরেছে যে সংকটে পড়া মুসলমান ভাইদের সহায়তা করার জন্য তাদের আনা হয়েছে। ধর্ষণ, লুট কিংবা অসামাজিক কাজের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের কাজের ওপর ইসলামের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারা যেখানে এসেছে তা মুসলমানদের দেশ, কোনো বিদেশ নয়।’
এই এলাকায় কোনো প্রতিরোধের ঘটনা ঘটছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তেমন কিছু নয়, বড়জোর ‘আলপিনের খোঁচা।’ পেশাজীবী সৈন্য হিসেবে এটা তাকে হতাশ করেছে।
মেজর বলতে থাকবেন, বাঙালিরা অত্যন্ত নরম আর ভীরু-চিকেন হার্টেড মানুষ। একটি গুলির শব্দ শুনলে শত শত বাঙালি মুরগির মতো উড়ে পালাতে থাকে, তাদের সাহস ও দৃঢ়তা নেই।
তিনি আরো বললেন, ‘আপনার সামনে এলে বাঙালিরা মেষ শাবক আর পেছনে গিয়ে বাঘ। তারা সে ধরনের মানুষ সুযোগ পেলে পিঠে ছুরি বসাবার সুযোগ হাতছাড়া করে না।’
একটু বিরতি দিয়ে মেজর বললেন, ‘তার এই মূল্যায়ন হয়তো ‘শতভাগ’ মানুষের জন্য সত্য নাও হতে পারে। সাধারণ মানুষ খুব সরল তাদের চাহিদা কম এবং তারা ঝামেলা সৃষ্টিকারী নয়।’
কিন্তু এত বেশি সংখ্যক হিন্দু কেন হত্যা করা হলো এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বললেন, এ সবের জন্য তার সৈন্যরা দায়ী নন। তারপর বললেন, ‘এমন বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে কিছু নিরীহ ও নির্দোষ লোকের তো ভোগান্তি হতে পারে, এটা কি স্বাভাবিক নয়?
মেজর বেগ বললেন, পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষকতার পেশায় হিন্দুদের আধিপত্য, তারা অনৈসলামিক বিষয় শিখিয়ে নাশকতামূলক ভূমিকা পালন করছে। এজন্যই পূর্ব পাকিস্তান এতটা পচে গেছে। এই শিক্ষকরা এবং হিন্দুরা পাকিস্তানকে একটি বাস্তবতা হিসেবে কেউই স্বীকার করেননি। তারা একটি স্বপ্নলোকে বাস করে। তারা বিশ্বাস করে পূর্ব পাকিস্তান ভারতমাতার সঙ্গে আবার এক হয়ে যাবে।
তবে মেজর আস্থাবান ভারত কখনো পাকিস্তানকে গিলে ফেলতে পারবে না।

অর্থনীতি পর্যদুস্ত, যোগাযোগ বিপর্যস্ত
সিডনি এইচ শনবার্গ ২৬ জুন ১৯৭১ ঢাকা থেকে যে ডেসপাচটি নিউইয়র্ক টাইমসে পাঠিয়েছিলেন তা ৩০ জুন ১৯৭১ প্রকাশিত হয়।
খাদ্য সামগ্রীর অভাব পূর্ব পাকিস্তানে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গ্রামাঞ্চলে মানুষের হাতে নগদ অর্থের ঘাটতি, পাটকলগুলো পঙ্গুদশায় পতিত এবং গেরিলাদের সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দেবার কাজটি এখনো অব্যাহত। তারপরও অধিকাংশ বিদেশি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন বাঙালিদের স্বায়ত্তশাসন লাভের আন্দোলন দমাতে সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলে যে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে এবং সেনাবাহিনী শোষণের যে মূল্য দিয়েছে অন্তত নিকট ভবিষ্যতের জন্য হলেও কিছু ক্ষতি পুষিয়ে সরকার সম্মত রয়েছে।
পূর্বাঞ্চলে ফিল্ড-ট্রিপের পর বিদেশি বিশেষজ্ঞ সূত্র যা জানিয়েছে যদি ভেঙে পড়া সড়ক ব্যবস্থার আশু ও লক্ষণীয় কিছু উন্নয়ন করা সম্ভব না হয় তাহলে খাদ্য স্বল্প এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো। অথচ সাধারণ সময়ে এটাই হচ্ছে খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চল এবং প্রতিবেশী জেলাগুলোতে এখান থেকেই খাদ্য সরবরাহ হয়ে থাকত।
বিদেশি অর্থনীতিবিদরা বলছেন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জনশূন্য মাঠে সামান্য ক’জন কৃষকের দেখা মেলে। ২৫ মার্চ থেকে যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালি দমনের চেষ্টা করে আসছিল তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ ভারতে পালিয়ে গেছে।

ধ্বংসপ্রাপ্ত, লুণ্ঠনকৃত অপসারিত
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাদ্যের মজুত হয় ধ্বংস করা হয়েছে, নয় লুণ্ঠিত হয়েছে, নতুবা বিদেশি অনুসন্ধান অনুযায়ী গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তারা বলেছেন, এখনো মানুষ সম্পূর্ণ অভুক্ত থাকার পর্যায়ে যায়নি, তবে পর্যাপ্ত খাবারও নেই, দু-তিন মাস পর খাবারের ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। অর্থনীতিবিদরা বলেন, ‘এখনকার অনেক ক্ষুধার্ত মানুষই আগামী দিনের মৃত মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে মোটের ওপর দুমাসের খাদ্যশস্য মজুত আছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে খাদ্য ঘাটতি এলাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান বন্দন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার রেল যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন আর এসব এলাকায় গেরিলা অপারেশনের খবর হামেশাই পাওয়া যাচ্ছে। নিয়মিতই এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আমদানি করা খাদ্যশস্যের ৭০ ভাগই এই লাইন দিয়ে পরিবহন করা হয়। সড়ক পথের প্রধান সেতুগুলো উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এ অঞ্চলের খাদ্য ঘাটতি বছরে প্রায় কুড়ি লাখ টন। এ বছর এ ঘাটতি সম্ভবত ৩০ লাখ টনে গিয়ে দাঁড়াবে।

ডক শ্রমিকরা পালিয়েছে
পরিবহনের এই হযবরল অবস্থা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দরের গুদামে ঠাঁই নেই মূল শ্রমিক স্বল্পতার কারণে। শ্রমিকরা পালিয়ে গ্রামাঞ্চলে কিংবা ভারতে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত পূর্ব পাকিস্তানকে বছরে গড়ে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করে থাকে। বন্দরের এই জটের কারণে তারা জাহাজে মালামাল পাঠানো সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে।
খাদ্য ঘাটতির অন্য এলাকা বঙ্গোপসাগরীয় বদ্বীপ অঞ্চল গত নভেম্বরের সাইক্লোনে ধ্বংসপ্রাপ্ত লাখো মানুষের মৃত্যু হয়েছে; চাল উৎপাদনে সমৃদ্ধ এই অঞ্চল তছনছ হয়ে গেছে। দ্বীপাঞ্চলে খাদ্যমজুত অত্যন্ত নিচে নেমে এসেছে আর উপকূলীয় এলাকায় যে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি কল্পনা করা হয়েছিল ত্রাণ হিসেবে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা সে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
আরো একটি অজ্ঞাত বিষয় হচ্ছে লাখ লাখ বাঙালির শরণার্থী হিসেবে দেশ ছাড়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। তাদের চলে যাওয়াতে খাদ্যশস্য ও শিল্পোৎপাদন একদিকে যেমন কমেছে, তাদের অনুপস্থিতি ভোগের চাহিদাও কমেছে, কাজেই খাদ্যশস্যের ওপর চাপ কিছুটা কম পড়বে।
এমনকি যেসব জায়গায় চালের সরবরাহ তুলনামূলকভাবে ভালো, নগদ অর্থের অভাবে অনেক গ্রামবাসী তা ক্রয় করতে সক্ষম হচ্ছে না। এমনকি পালিয়ে যাবার আগে হিন্দু চাষিরা সস্তায় যে খাদ্যশস্য ছেড়ে দিতে চাচ্ছে তাও তাদের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
তাদের হাতে টাকা না থাকার প্রধান কারণ সরকারের গ্রামীণ পূর্ত কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে আছে। যেসব শ্রমিক রাস্তাঘাট নির্মাণ, সেচ-খাল কাটার, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে দৈনিক ৬০ সেন্টের সমপরিমাণ টাকা কামাই করত তারা কর্মহীন।
সব ধরনের উন্নয়ন কাজ থেমে আছে। সরকারের কৃষি বিভাগের টেকনিশিয়ান এবং ব্যক্তি খাতের সেচ ও নলকূপ ঠিকাদাররা প্রাণের ভয়ে গ্রামাঞ্চলের অভ্যন্তরে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। বিদেশি পরামর্শক ও প্রকৌশলীরা তাদের ঢাকা অফিসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। সরকারি অফিস যদিও খোলা সেখানে কর্মচারীর স্বল্পতায় পরিকল্পনা ধরনের কোনো কাজ হচ্ছে না।
শ্রমিকদের একাংশ পাটকলগুলোকে আংশিক চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্বাঞ্চলে পাটই প্রধান অর্থকরী ফসল এবং পাকিস্তানের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। পূর্ব পাকিস্তানে পুনরুদ্যমে সহায়তা পুনরায় শুরু করা যাবে কি না তা পরীক্ষা করতে আসা বিশ্বব্যাংক টিম প্রয়োজনীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমীক্ষা করে এই অর্থনীতির পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
এই টিমের বিদেশি অর্থনীতিবিদরা জানান তারা ব্যথিত ও হতাশ হয়েছেন। যতক্ষণ না বর্তমান অবস্থার রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে এবং সামরিক সরকার বাস্তবসম্মত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন না করছে তারা উন্নয়ন সহায়তা স্থগিত রাখার সুপারিশ করবেন।
১১টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত উন্নয়ন সহায়তা কনসোর্টিয়ামের সমন্বয়কের দায়িত্ব বিশ্বব্যাংকই পালন করেন থাকে। তাদের দেয়া বার্ষিক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ওপর পাকিস্তান বিশেষভাবে নির্ভরশীল। এর বড় অংশ ২০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র এই কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে পাকিস্তানকে সরবরাহ করে থাকে।
বিদেশি সহায়তা ছড়া পাকিস্তান আর কতদিন পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম চালাতে পারবে তা এখানকার বিদেশিদের বিস্তারিত আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

(সিডনি এইচ শনবার্গ : ২৫ মার্চ ১৯৭১ যে ক’ন বিদেশি সাংবাদিক ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্মম নারকীয় যজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছেন সিডনি শনবার্গ তাদের অন্যতম। তার জন্ম ১৭ জানুয়ারি ১৯৩৪ আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্লিনটন শহরে। ৯ জুলাই ২০১৬ তিনি নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একাত্তর-বাহাত্তরে নয়া দিল্লিতে নিউইয়র্ক টাইমসের ব্যুরো চিফ ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো ঘটনার তিনি যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন তা বিশ্বকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অবহিত ও সচেতন করেছে। খেমাররুজদের নির্মম কম্বোডিয়া শাসন নিয়ে তার কাভারেজ সিডনি শনবার্গকে এনে দেয় ১৯৭৬-এর পুলিৎজার পুরস্কার। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশবান্ধব বিদেশি সাংবাদিকদের তিনি অন্যতম।)

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়